অনলাইন ডেস্কঃ
কখনও চুরি, কখনও ডাকাতি। ধরা পড়ার পর কারাগারে। কদিন বাদে জামিনে বেরিয়ে ফের চুরি-ডাকাতিতে অংশগ্রহণ। সম্প্রতি রাজধানীতে দুটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় এই চক্রের পাঁচ সদস্য ধরা পড়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বাসা-বাড়ি বাছাই করে ডাকাতরা। এরপর গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে ওই বাসায় ঢুকে শুরু করে তাণ্ডব। অস্ত্রের মুখে বাসিন্দাদের হাত-পা-চোখ বেধে চলে লুটতরাজ।
রাত দুটো থেকে ভোর পাঁচটা- নিস্তব্ধ শহরে বেরিয়ে পড়ে ডাকাতরা। আগেই বাছাই করা বিত্তশালীর বাসার কাছে গিয়ে দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে অবস্থান নেয় তারা।
দেয়াল বেয়ে জানালার কাছে চলে যায় একটি দল। দুই-তিন মিনিটের মধ্যে গ্রিল ভেঙে ঢুকে পড়ে বাসায়। ঘুমিয়ে থাকা বাসিন্দাদের ডেকে তুলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। তারপর সবার হাত-পা-চোখ বেধে শুরু হয় লুটতরাজ। গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, চুরিতে হাত পাকিয়ে পেশাদার ডাকাত হয়ে ওঠে এই চক্রের বেশির ভাগ সদস্য।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তেজগাঁও বিভাগ উপ কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল,’জানালার গ্রিল ভেঙ্গে তারা তিনজন বা চারজন সাধারণত ভিতরে ঢুকে এবং বাইরে আরও দু-একজন তাদেরকে ব্যাকাপ দেয়ার জন্য থাকে। চাপাতি, রামদা এগুলো দিয়ে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে তারপর মালামাল লুট করে।’
সম্প্রতি ঢাকার মগবাজার ও হাতিরঝিলে দুটি বাসায় ডাকাতি করে চক্রটি। লুট করে প্রায় দেড়শো ভরি স্বর্ণসহ কোটি টাকার বেশি সম্পদ। এসময়ে সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার লাইসেন্স করা পিস্তলও নিয়ে যায় ডাকাতরা। নিবিড় তদন্ত শেষে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে লুটের পিস্তল, পঞ্চাশ রাউন্ড গুলি, স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির আঠারো লাখ টাকা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কর্মকর্তারা জানান, চুরি-ডাকাতি-দস্যুতার মামলায় একাধিকবার ধরা পড়ার পর জামিনে বেরিয়ে ফের একই অপরাধে জাড়িয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা।
ঢাকা মহানর গোয়েন্দা পুলিশ অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন,’আমরা যাদেরকে ধরছি তারা একাধিকবার জেলে গেছে। অনেক মামলার আসামি। এই মামলাগুলো যখন শেষ হবে তখন তাদের পানিশমেন্ট হবে।’
পাঁচ ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি লুটের মালামাল যাদের কাছে বিক্রি করা হত, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।