ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের যেকোনো জাতিগত গোষ্ঠীর তুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান এবং বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ অন্যান্য কৃষ্ণাঙ্গদের মত্যুর হার দ্বিগুণ। তবে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যু ঝুঁকির জন্য স্বাস্থ্যগত যে সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তা অস্বীকার করেছে দেশটির অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা কেমন পরিবেশে বসবাস করছেন, কী সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তার সঙ্গে তাদের বেশি মৃত্যু ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে।
কয়েক মাস আগেই জানা যায়, করোনায় ব্রিটেনের সংখ্যালঘুরা বেশি হারে মারা যাচ্ছেন। তখন গয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়, ‘এই অঞ্চলের মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি আছে। এ কারণে নভেল করোনাভাইরাস তাদের বেশি ক্ষতি করছে।’
সেনাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন শি জিনপিং
কিন্তু ওএনএস বলেছে, স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা থাকলেও বেশি হারে তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ব্যাখ্যা সেটি নয়। অসুস্থতার আসল পার্থক্য তাদের জীবনযাপনের সুযোগে লুকিয়ে রয়েছে।
জুন-জুলাই মাসে ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষেরাও একই কথা বলেন। তাদের অভিযোগ, ‘দিনের পর দিন, যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা সরকারি বৈষম্য তাদের মৃত্যুর কারণ।’
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ নারীদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকা, কৃষ্ণাঙ্গ ক্যারিবিয়ান, বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি নারীরা প্রায় দ্বিগুণ হারে মারা গেছেন।
অধিকতর তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে ওএনএস জানিয়েছে, এই অঞ্চলের মানুষেরা ব্রিটেনে যেসব চাকরি করেন তাতে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শারীরিক কারণের চেয়ে তারা দারিদ্র্যের কারণে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন।