ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস Logo রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ল কার্গো উড়োজাহাজ, নিহত ২ Logo হাসপাতালে সংস্কার উদ্যোগে সহযাত্রী সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের অগ্রগতি

বড় ধাক্কা খেলেন মমতা !

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৪৬ বার পড়া হয়েছে

বড় ধাক্কা খেলেন মমতা:

বড়সড় ধাক্কা খেলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। চলতি বছরের বিধানসভা ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বেশ কয়েটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

সেই মামলার তদন্ত ভাবে আজ সিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত করলেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গঠিত কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তম বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এইভাবে একটি মামলায় সর্বসম্মতভাবে রায় আগে কোনও দিন আসেনি বলে দাবি অনেক আইনজীবীর।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয় এপ্রিলের ২৯ তারিখে। ভোটের ফল প্রকাশ ২ মে। ভোটের বিপুল বিজয় নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরেন মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১১ আসন থেকে বেড়ে তারা পায় ২১৩ আসন। অন্যদিকে বিজেপি মাত্র ৩ আসন থেকে বেড়ে পায় ৭৭ আসন। প্রধান বিরোধী দল হিসাবে একমাত্র বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় উঠে আসে।
কিন্তু অভিযোগ উঠে, তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থককের ওপর হামলা, অত্যাচার, বাড়ি ছাড়া এবং খুনের মতো ঘটনায় সংঘটিত করে তৃণমূল কংগ্রেস। বার বার অভিযোগ করার পও তৃণমূলের প্রশাসন এসব অভিযোগের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে।
বিজেপির দাবি, ভোটের পর তাদের ৪৭ জন সমর্থক খুন হয়েছেন। শতাধিক নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনা যে সত্যি সেটা ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্টেও প্রকাশ করে। এসব নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৫টি মামলা দায়ের হলে সেই মামলার শুনানী শেষ হয় ৩ আগস্ট।
সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দান করেন বিচারপতিরা। তারা বলেন, ভোটের পর হিংসায় সংবেদনশীল মামলা গুলোর তদন্ত করবে সিবিআই এবং এ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেইশন টিম বা সিট গঠন করেও তার তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে ভোটের পর হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করতে হবে।
এই ঘটনায় বিজেপি নিজেদের নৈতিক জয় বলে দাবি করলেও তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে তারা আইনজ্ঞদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল এবং থাকবে। তৃণমূল সরকার ব্যর্থ সরকার। তারা ভোটের পর সন্ত্রাসে মদত দিয়েছে। সেটা আজ কোর্টের রায় পরিষ্কার।
তবে তৃণমূল নেতা সাংসদ সৌগত রায় বলেন, রায়ে তারা অখুশী। তিনি বলেন, নিশ্চয় আমরা উচ্চতর আদালতে যাবো। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যারা তদন্ত করেছেন তাদের অনেকেই বিজেপি নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তাদের বলার কিছু নেই।

[irp]

বড় ধাক্কা খেলেন মমতা !

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

বড় ধাক্কা খেলেন মমতা:

বড়সড় ধাক্কা খেলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। চলতি বছরের বিধানসভা ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বেশ কয়েটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

সেই মামলার তদন্ত ভাবে আজ সিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত করলেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গঠিত কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তম বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এইভাবে একটি মামলায় সর্বসম্মতভাবে রায় আগে কোনও দিন আসেনি বলে দাবি অনেক আইনজীবীর।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয় এপ্রিলের ২৯ তারিখে। ভোটের ফল প্রকাশ ২ মে। ভোটের বিপুল বিজয় নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরেন মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১১ আসন থেকে বেড়ে তারা পায় ২১৩ আসন। অন্যদিকে বিজেপি মাত্র ৩ আসন থেকে বেড়ে পায় ৭৭ আসন। প্রধান বিরোধী দল হিসাবে একমাত্র বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় উঠে আসে।
কিন্তু অভিযোগ উঠে, তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থককের ওপর হামলা, অত্যাচার, বাড়ি ছাড়া এবং খুনের মতো ঘটনায় সংঘটিত করে তৃণমূল কংগ্রেস। বার বার অভিযোগ করার পও তৃণমূলের প্রশাসন এসব অভিযোগের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে।
বিজেপির দাবি, ভোটের পর তাদের ৪৭ জন সমর্থক খুন হয়েছেন। শতাধিক নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনা যে সত্যি সেটা ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্টেও প্রকাশ করে। এসব নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৫টি মামলা দায়ের হলে সেই মামলার শুনানী শেষ হয় ৩ আগস্ট।
সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দান করেন বিচারপতিরা। তারা বলেন, ভোটের পর হিংসায় সংবেদনশীল মামলা গুলোর তদন্ত করবে সিবিআই এবং এ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেইশন টিম বা সিট গঠন করেও তার তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে ভোটের পর হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করতে হবে।
এই ঘটনায় বিজেপি নিজেদের নৈতিক জয় বলে দাবি করলেও তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে তারা আইনজ্ঞদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল এবং থাকবে। তৃণমূল সরকার ব্যর্থ সরকার। তারা ভোটের পর সন্ত্রাসে মদত দিয়েছে। সেটা আজ কোর্টের রায় পরিষ্কার।
তবে তৃণমূল নেতা সাংসদ সৌগত রায় বলেন, রায়ে তারা অখুশী। তিনি বলেন, নিশ্চয় আমরা উচ্চতর আদালতে যাবো। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যারা তদন্ত করেছেন তাদের অনেকেই বিজেপি নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তাদের বলার কিছু নেই।

[irp]