বিয়ের বাড়িতে কনেপক্ষের মূল আকর্ষণ থাকে বরকে ঘিরে। কিন্তু শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা পোল্লাডাঙ্গা জিন্নাহনগর গ্রামের একটি বিয়েবাড়িতে বরকে দেখে আঁতকে ওঠে কনেপক্ষ। জানা গেছে, বড় ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলেও বর হয়ে এসেছেন ছোট ভাই। আর এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। বিয়ের বাড়ির উৎসব নিমেষেই পণ্ড হয় যায়।
ভোলাহাট উপজেলার তাঁতি পাড়া গ্রামের আকরাম আলীর বড় ছেলে সোহাগ বাবুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিলে পোল্লাডাঙ্গা জিন্নাহনগর গ্রামের এক মেয়ের। কিন্তু বিয়ের আসরে আসেন সোহাগ বাবুর ছোট ভাই সুজন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল : আমু
বিয়ে বাড়িতে আগত অতিথিদের কথা ভেবে, খাওয়া দাওয়া পর্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন কনে পক্ষের লোকজন। অন্যদিকে বর নিয়ে চলতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। কনেপক্ষ অনড় থাকে তারা নকল বরের সঙ্গে কোনো মতেই তাদের মেয়ের বিয়ে দিবে না।
পরে শনিবার বিকেলে এই নিয়ে বিয়ে বাড়িতে সালিশ হয়। উভয় পক্ষকে নিয়ে বিচারে বসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিচারে বিয়ের আয়োজনের খরচ ৩০ হাজার টাকা ও প্রতারণা করার দায়ে আরো ৩০ হাজার মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নকল বর সুজন আলীকে। পরে সন্ধ্যায় তিন হাজার টাকা দিয়ে ও বৃহস্পতিবার বাকি জরিমানার টাকা দিবেন এমন শর্তে বিয়ে না করেই শূন্য হাতেই বাড়ির পথ ধরেন নকল বর সুজন।
ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন জানান, দুই ভাই মিলেই কনে দেখতে এসেছিল, তখন বড় ভাইয়ের বিয়ের কথা বলেছিল। ছেলেটা লেবাননে থাকে, ছুটিতে এসেছিল। কিন্তু পরে বিয়ের নির্ধারিত দিনে ছোট ভাইকে পাঠিয়েছিল বড় ভাইয়ের পরিবর্তে। এই নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। আমরা বিকেলে বসে উভয় পক্ষের কথা শুনে একটা সমাধান করে দিয়েছি। এখানে ঘটকও একটি মিস কমিউনিকেশন করেছিল।