ভাঙ্গায় মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিল ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
চাকুরীর মেয়াদোত্তীর্ণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম খোকনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার সকালে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য লাভলু মুন্সির নেতৃত্বে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
লাভলু মুন্সী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ভাঙ্গার মহিলা কলেজ থেকে অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম খোকন তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিনি বহাল তবিয়তে থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছে। তিনি চাকরিচ্যুতির পরেও অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে চারজন শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন।
অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি,অসামাজিক কার্যকলাপ, অশালীন আচরণ ও কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয় জনগণ ভাঙ্গার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর অনুমতি নিয়ে অধ্যক্ষের রুমে তালা দিতে বাধ্য হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে তিনি আরও বলেন, ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চার জন শিক্ষককে অবৈধভাবে নিয়োগ করার পাশাপাশি একজন অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষ বা সুধীজনের সাথে বিবিধ বিষয় কলেজ বিষয়ে অনিয় দূন নীতির কথা প্রসঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে গোটা এলাকানাসী তার প্রতি ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে জানান।
অধ্যক্ষ রেজাউল করিম খোকন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শিক্ষক নিয়োগ দেন এনটিসি আমার নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা নাই, দেওয়াও হয় নাই। কলেজ কমিটির সভাপতি, সাবেক এমপি কাজী নিলুফার জাফরুল্লাহ আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আবারও পাঁচ বছরের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব ৪ মাস আগে দিয়েছেন। আমি কলেজের বৈধ অধ্যক্ষ। আমার কক্ষে তালা দেওয়ার বিষয়ে আমি কলেজ কমিটিকে জানিয়েছি। কলেজ পরিচালকদের পরামর্শ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান।