আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশটির সঙ্গে আগেই বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৫ মে পর্যন্ত জারি করা হয়েছিল এই নিষেধাজ্ঞা। এবার সেই সিদ্ধান্ত আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে দেশটির সরকার জানিয়েছে, ভারত থেকে এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরা মানুষদের পাঁচ বছরের জেল অথবা জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নতুন এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে- অস্ট্রেলীয় যেসব নাগরিক গত ১৪ দিন ধরে ভারতে ছিলেন বা আছেন, তারা দেশে অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারবেন না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে কাউকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে বা অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ এই আইন না মানেন, তাহলে তাদের পাঁচ বছরের জেল হতে পারে অথবা ৬৬ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা দিতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৩ লাখ টাকারও বেশি।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। আপাতত ১৫ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার অতিসংক্রামক ধরনটি সেখানকার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মহামারির বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থান আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল দেশটির সরকার।
করোনা মহামারির মধ্যে যেসব পর্যটক ভারতে ভ্রমণে গিয়েছেন তাদেরকেও দেশে আসতে নিষেধ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এমকি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরাও যদি ১৪ দিনের মধ্যে ভারতে এসে থাকেন তবে তাদেরকেও এই আইনের আওতায় আনা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে অনেক মানুষ সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। অস্ট্রেলিয়া থেকে সারা বছরই অনেক পর্যটক ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন। আবার ভারতের অনেক মানুষও অস্ট্রেলিয়ার নাগিরকত্ব নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ভারতে এসে থাকলে সত্যিই বিপদের মুখে পড়বেন। এছাড়া ভারতে চলমান আইপিএলেও বেশ কিছু অস্ট্রেলীয় তারকা খেলোয়াড় অংশ নিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ভারতে এখন আনুমানিক ৯ হাজার অস্ট্রেলীয় নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ৬০০ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জিপি অ্যান্ড হেলথ কমেন্টেটর ডা. বিয়ম শার্মার বলেছেন, ‘বিদেশে তথা ভারতে আমাদের পরিবারগুলো আক্ষরিক অর্থেই মারা যাচ্ছে। …সেখান থেকে তাদেরকে বের করে আনার আর কোনো উপায়ই নেই। (অস্ট্রেলিয়ার সরকার) তাদেরকে পরিত্যাগ করেছে।’