অনলাইন ডেস্ক:
ভারত থেকে আমদানিকৃত ১ লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে। আজ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর মধ্য দিয়ে আমদানি করা চাল দেশে আসতে শুরু করেছে। দেশে আসা চালের মধ্যে গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোমরা, দর্শনা, বেনাপোল, সোনা মসজিদ, হিলি, বুড়িমারি, বাংলাবান্দা, শেওলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে বেসরকারিভাবে মোট ৫৬ হাজার ৩শত ৯১ মেট্রিক টন চাল রয়েছে।
বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য গত ৩ জানুয়ারি ১০জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, ৪ জানুয়ারি ১২ জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০হাজার মেট্রিক টন এবং ৫ জানুয়ারি ৭জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, ৬ জানুয়ারি ৪৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭৪হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি ৬৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরো ১ লাখ ৭১ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৭২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরও ১ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ১৩ জানুয়ারি ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১লক্ষ ৬হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং ১৭ জানুয়ারি ৬৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১০ লাখ ১৪হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বরাদ্দ পত্র ইস্যুর ৭দিনের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এল.সি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়। ৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা এল.সি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল এবং ১০-১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা এল.সি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারীকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানরে এলসি খোলার সময় সীমা ৩১জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। গত ৩১জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক অফিস আদেশে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এলসি খোলার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃদ্ধি করে নির্দেশনা জারি করা হয়।
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।