ভালোবাসার টানে দুই সন্তানকে নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী লালমনিরহাটে
রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ভালোবাসার টানে দুই সন্তানকে নিয়ে লালমনিরহাটে এসেছেন এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত উৎসুক জনগণ ভিড় জমাচ্ছেন ওই বাড়িতে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বৈরগী কুমোর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে বিপুল হোসেন (২৫) ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারই সুবাদে ভাড়া থাকতেন ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জ এলাকায়।
যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার পাশেই বসবাস করতেন ফারজানা বেগম নামের ৩৪ বছরের দুই সন্তানের জননী। দীর্ঘ তিন বছর সম্পর্ক করার পর, কিছুদিন আগে ঢাকায় কোর্ট এফিডেভিট এবং লালমনিরহাটে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেছেন বলে জানান ফারজানা । বিষয়টি নিয়ে ফারজানার সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগের স্বামীর সংসারে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রচুর নির্যাতন করা হতো। আর এ কারণেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতিবেশী বিপুল হোসেনের সাথে। পরে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করে ১০ বছরের মেয়ে ও ৬ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন লালমনিরহাটে।
কিন্তু বাড়িতে আসার পর ওই মহিলা রীতিমতো বিব্রত। প্রতিনিয়ত ওই বাড়িতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে তাকে যত্রতত্র প্রশ্ন করে বিব্রত করছেন। ফারজানা সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ করে বলেন, সুখের খোঁজে লালমনিরহাট এলাম, কিন্তু এখানে বেশি জালা! অপরদিকে প্রবাসীর স্ত্রীকে দুই সন্তানসহ সাথে নিয়ে আসা সেই বিপুলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ-ই বিপুল ২ শিশুসহ এই মহিলাকে নিয়ে বাড়িতে আসে। আর তাই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই বাড়িতে ইতিমধ্যে পুলিশ এসেছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান বিপুল ফারজানাকে নিয়ে আসার সময় ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন আসবাবপত্র সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। তাই অনেকের ধারণা যেহেতু ফারজানা প্রবাসীর স্ত্রী হয়তোবা অনেক টাকা পয়সাও সাথে নিয়ে এসেছেন। এ কারণেই উৎসুক জনগণের ভিড় বেশি। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি, কেউ অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।