একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ট্রাইব্যুনালে এই পরোয়ানা পাঠানো হলে দুপুরে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ১৪ জানুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেয়েছি। আজ তা প্রস্তত করে মৃত্যু পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি।’
ট্রাইব্যুনালের লাইব্রেরিয়ান তাপস রায় ও ডেসপাস শাখার রাসেল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর এই পরোয়ানা পাঠান।
২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সৈয়দ কায়সারকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে সাতটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড, চারটিতে যাবজ্জীবন ও তিনটিতে মোট ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সৈয়দ কায়সার।
পরে আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনটি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আদালত। এ ছাড়া চারটি অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি।