ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের চিঠি

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬২ বার পড়া হয়েছে

পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক করা থেকে মিয়ানমারকে বিরত রাখতে এবং অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্রুত পদক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ।‘মিয়ানমারকে স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন যে, যেকোনো সামরিক বা নিরাপত্তা অভিযান চলাকালে তাদের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও তাদের দায়িত্ব’।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি চিঠি লিখেছে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর দিয়েছে।

এর আগে দু’দেশের সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সেনা মোতায়েন নিয়ে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত শুক্রবার থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে এ জাতীয় সন্দেহজনক গতিবিধি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যাতে দুই দেশের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না ঘটে।

সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সামরিক বাহিনীর এ জাতীয় চলাফেরা সীমান্তের দু’পাশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তে সতর্ক রয়েছে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ দেখছে না।

সীমান্ত এলকায় এভাবে সেনা মোতায়েন করা হলে প্রতিবেশী দেশসমূহ তা জানানোর রেওয়াজ থাকলেও মিয়ানমার বাংলাদেশকে অবগত করেনি। সামনে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন। যে কোনো নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণভাবে সবসময় পরিবর্তন হয় এবং এটি তারও একটি অংশ হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিলেও প্রায় তিন বছর পরেও নিজেদের নাগিরকদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছে মিয়ানমার।

ট্যাগস :

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের চিঠি

আপডেট সময় : ০৯:১৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক করা থেকে মিয়ানমারকে বিরত রাখতে এবং অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্রুত পদক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ।‘মিয়ানমারকে স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন যে, যেকোনো সামরিক বা নিরাপত্তা অভিযান চলাকালে তাদের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও তাদের দায়িত্ব’।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি চিঠি লিখেছে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর দিয়েছে।

এর আগে দু’দেশের সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সেনা মোতায়েন নিয়ে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত শুক্রবার থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে এ জাতীয় সন্দেহজনক গতিবিধি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যাতে দুই দেশের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না ঘটে।

সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সামরিক বাহিনীর এ জাতীয় চলাফেরা সীমান্তের দু’পাশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তে সতর্ক রয়েছে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ দেখছে না।

সীমান্ত এলকায় এভাবে সেনা মোতায়েন করা হলে প্রতিবেশী দেশসমূহ তা জানানোর রেওয়াজ থাকলেও মিয়ানমার বাংলাদেশকে অবগত করেনি। সামনে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন। যে কোনো নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণভাবে সবসময় পরিবর্তন হয় এবং এটি তারও একটি অংশ হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিলেও প্রায় তিন বছর পরেও নিজেদের নাগিরকদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছে মিয়ানমার।