অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার ঘটনায় ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। বিমানের উপর দায় বর্তালেও দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে লন্ডনের বিমান অফিস। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটে ঘষামাজা করে বিমানে উঠেছিলেন এই যাত্রীরা। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)-এর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে, বিমান বাংলাদেশ এর লন্ডন অফিসের দাবি কোন যাত্রী করোনা ভাইরাসের পিসিআর টেষ্ট ছাড়া বিমানে বোর্ডিং করেনি। তাহলে, কিভাবে এতো যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলো – সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে, ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে কেউ লন্ডন থেকে উড্ডয়ন করলেও সেটি সনাক্ত করার কোন উপায় বিমান কর্তৃপক্ষের নেই বলে জানান লন্ডনস্থ বাংলাদেশ বিমানের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশি মালিকানাধীন ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও এই ঘটনায় বেশ বিব্রত হলেও ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।
গত ২১ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিমানের বিজি ২০২ ফ্লাইটযোগে ১৫৭ জন যাত্রী সিলেটে আসেন। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
চার দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর গত ২৪ জানুয়ারি সব যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়। করোনা টেস্টে ২৮ জন যাত্রীর পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন হোটেল নুরজাহানে, ৫ জন ব্রিটানিয়ায়, ৪ জন হলিগেইটে, ৩ জন লা রোজে এবং হলিসাইডে একজন ছিলেন। তাদেরকে খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।