আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সে স্কোর পেরিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল টাইগাররা। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম গড়েছেন বাংলাদেশের হয়ে দ্রততম সেঞ্চুরি। একই সাথে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাত হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন মুশফিকুর রহিম।
সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন টাইগারদের অভিজ্ঞ ব্যাটার। ইনিংসের শেষ বলে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির পর মাঠেই সিজদায় লুটে পড়েন মুশফিক।
সেই সাথে ম্যাচের আগে ৭ হাজার রান থেকে ৫৫ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও স্বভাবজাত আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়েই শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩৩ বলে তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান সাত হাজারি ক্লাবে।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সাত হাজার রানের মাইলফলকে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশের জার্সিতে সবার আগে এই কীর্তি স্পর্শ করেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতি ওপেনার অবশ্য প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আট হাজারি ক্লাবেও প্রবেশ করেছেন তিনি।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তামিম। ২৩৬ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৮ হাজার ১৬৯ রান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের নামের পাশে আছে ৭ হাজার ৮৬ রান। এই তিন জন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারি ক্লাবেও প্রবেশ করতে পারেননি। আজ বাংলাদেশের হয়ে দ্রততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। তার ১৪ বছর শেষ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিক অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রানে। ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ বলে ইনিংস সাজান তিনি। বাংলাদেশ পায় ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৪৯।