লৌহজংয়ে দফায় দফায় লোডশেডিং-জনজীবণে দূর্ভোগ
আ স ম আবু তালেব/লৌহজং প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সর্বস্তরের লোকজন। পবিত্র মাহে রমজান মাসে বৈশাখের প্রখর রোদে দাবালনের মতোই জনজীবনে দূর্ভোগের সৃষ্টি করছে। অধিকাংশ সময়ে বিশেষ করে সেহেরি ইফতার ও নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছে মুসলমানরা। তাছাড়া অন্যান্য ধর্মালম্বীদেরও ধর্ম পালন সহ সব কাজেই মারাত্মক কষ্ট হচ্ছে। লৌহজংসহ সারা দেশেই চলছে প্রচন্ড তাপদাহ।
তাপমাত্রা হচ্ছে ৪০ ডিগ্রীর কাছাকাছি তবে প্রকৃত অনুভব ৪২ ডিগ্রি। এই প্রচন্ড গরমে মানুষ বাড়িতে থেকে একটু ফ্যানের বাতাস খেয়ে শরীর জুড়াবে তা আর হয়ে উঠেনা। কারন লৌহজংয়ে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। মাদ্রাসা স্কুল কিন্ডার গার্টেন ও কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড গরমে লেখা পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। এক কথায় শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সকল শিক্ষার্থী। চাকুরীজীবি ব্যবসায়ী শিশু থেকে বৃদ্ধ সহ সর্ব স্তরের লোকজন প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে।
এদিকে লৌহজং উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম নিশীথ কুমারের সাথে লোডশেডিংয়ের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের জাতীয় গ্রিড হতেই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছিনা। আমাদের উপজেলা ফিডারে দৈনিক চাহিদা রয়েছে সাড়ে ১১ মেগাওয়াট কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৬ থেকে গাওয়াটের মতো। আমাদের চাহিদার চাইতে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় আমাদের বিভিন্ন ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। প্রতি ফিডারে এক ঘন্টা করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। কবে নাগাদ এমন পরিস্থিতি শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, এইটা জাতীয় গ্রিডের সমস্যা, উৎপাদন কম কিন্তু চাহিদা বেশি। যেদিন সমস্যা সমাধান হবে এবং চাহিদা মত বিদ্যুৎ পাবো সেদিন সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
কাঠপট্টি এলাকার মোঃ রাসেল মাদবর জানান, যে গরম পড়ছে শরীর জেনো পুড়ে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা আরব কান্ট্রিতে আছি। তারমধ্যে ঠিকমতো থাকেনা বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার মধ্যেই আছে। কিছুদিন আগে এতো পরিমাণ লোডশেডিং ছিলোনা। হঠাৎ করেই এতো লোডশেডিং বেড়ে গেলো। এতে আমাদের রোজাদারদের কষ্ট একটু বাড়িয়ে দিচ্ছে।