ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০৭২ বার পড়া হয়েছে

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত পাহারায় বিজিবির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানই প্রতিরোধ করে না, বরং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নেও সহায়তা করে। তারা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে টহল জোরদার করতে নতুন বিওপি স্থাপন করছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়াচ্ছে।

বিজিবির প্রধান ভূমিকাগুলো হলো:-
সীমান্ত সুরক্ষা: পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও পাহাড়ি সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ: অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধে তারা তৎপর থাকে।
মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার দমন: মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা: স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জনসচেতনতা কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা এবং বই বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করে।
দুর্গম এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি: দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার পোস্ট (বিওপি) স্থাপন করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা: বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজিবির কার্যক্রমের কিছু উদাহরণ:
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও অবরক্ষিত সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত করার জন্য নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন ও ৩০টি বর্ডার পোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

বর্তমানে ১৮টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে ১৫৪টি বিওপি, ৩৮টি বিজিবি ক্যাম্প, ২২টি বিশেষ ক্যাম্প এবং ১৪টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তারা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।

মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
বিজিবি স্থানীয় জনগণের মধ্যে বই বিতরণ, চিকিৎসা শিবির স্থাপন এবং স্থানীয় ভাষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ট্যাগস :

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত পাহারায় বিজিবির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানই প্রতিরোধ করে না, বরং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নেও সহায়তা করে। তারা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে টহল জোরদার করতে নতুন বিওপি স্থাপন করছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়াচ্ছে।

বিজিবির প্রধান ভূমিকাগুলো হলো:-
সীমান্ত সুরক্ষা: পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও পাহাড়ি সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ: অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধে তারা তৎপর থাকে।
মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার দমন: মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা: স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জনসচেতনতা কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা এবং বই বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করে।
দুর্গম এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি: দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার পোস্ট (বিওপি) স্থাপন করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা: বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজিবির কার্যক্রমের কিছু উদাহরণ:
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও অবরক্ষিত সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত করার জন্য নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন ও ৩০টি বর্ডার পোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

বর্তমানে ১৮টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে ১৫৪টি বিওপি, ৩৮টি বিজিবি ক্যাম্প, ২২টি বিশেষ ক্যাম্প এবং ১৪টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তারা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।

মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
বিজিবি স্থানীয় জনগণের মধ্যে বই বিতরণ, চিকিৎসা শিবির স্থাপন এবং স্থানীয় ভাষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।