ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৩৯৪ বার পড়া হয়েছে

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত পাহারায় বিজিবির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানই প্রতিরোধ করে না, বরং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নেও সহায়তা করে। তারা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে টহল জোরদার করতে নতুন বিওপি স্থাপন করছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়াচ্ছে।

বিজিবির প্রধান ভূমিকাগুলো হলো:-
সীমান্ত সুরক্ষা: পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও পাহাড়ি সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ: অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধে তারা তৎপর থাকে।
মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার দমন: মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা: স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জনসচেতনতা কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা এবং বই বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করে।
দুর্গম এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি: দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার পোস্ট (বিওপি) স্থাপন করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা: বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজিবির কার্যক্রমের কিছু উদাহরণ:
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও অবরক্ষিত সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত করার জন্য নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন ও ৩০টি বর্ডার পোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

বর্তমানে ১৮টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে ১৫৪টি বিওপি, ৩৮টি বিজিবি ক্যাম্প, ২২টি বিশেষ ক্যাম্প এবং ১৪টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তারা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।

মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
বিজিবি স্থানীয় জনগণের মধ্যে বই বিতরণ, চিকিৎসা শিবির স্থাপন এবং স্থানীয় ভাষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ট্যাগস :

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত পাহারায় বিজিবির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানই প্রতিরোধ করে না, বরং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নেও সহায়তা করে। তারা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে টহল জোরদার করতে নতুন বিওপি স্থাপন করছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়াচ্ছে।

বিজিবির প্রধান ভূমিকাগুলো হলো:-
সীমান্ত সুরক্ষা: পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও পাহাড়ি সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ: অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধে তারা তৎপর থাকে।
মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার দমন: মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা: স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জনসচেতনতা কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা এবং বই বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করে।
দুর্গম এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি: দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার পোস্ট (বিওপি) স্থাপন করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা: বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজিবির কার্যক্রমের কিছু উদাহরণ:
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম ও অবরক্ষিত সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত করার জন্য নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন ও ৩০টি বর্ডার পোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

বর্তমানে ১৮টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে ১৫৪টি বিওপি, ৩৮টি বিজিবি ক্যাম্প, ২২টি বিশেষ ক্যাম্প এবং ১৪টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তারা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।

মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার ঠেকাতে বিজিবি প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
বিজিবি স্থানীয় জনগণের মধ্যে বই বিতরণ, চিকিৎসা শিবির স্থাপন এবং স্থানীয় ভাষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।