ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিতভাবে খোলার সংবাদ ভিত্তিহীন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৯৩ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিতভাবে খোলার যে সংবাদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় । বিভ্রান্তিকর এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিসংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়

এর আগে, এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। আগামী ১৫ নভেম্বর খুলবে কিনা, নাকি বন্ধ রাখব, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য সীমিত আকারে আমরা শুরু করতে পারব-এসব বিষয় নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। ১৪ নভেম্বরের আগে আমরা সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দিতে পারব। কারণ, ১৪ তারিখের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে। কাল (বৃহস্পতিবার) বা পরশুর (শুক্রবার) মধ্যে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হবে।

শিক্ষামন্ত্রী এই বক্তব্যের পরে দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার চিন্তা করছে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায় এমন আভাস পাওয়া গেছে। তার পরপরই সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেখা দেয় বিভ্রান্তি।

গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় বাড়ানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়। বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে বলেও জানানো হয়।

তবে দুপুরে অনলাইনে সাংবাদিকদের এক আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কিনা, নাকি এই ছুটিটি আরও বাড়বে নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারবো- এসব বিষয় নিয়ে এখনও কাজ চলামান। তবে ১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দিতে। কারণ, ১৪ তারিখের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে।

মার্চে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ছুটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে কার্যক্রম শুরুর গুঞ্জন চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিতভাবে খোলার সংবাদ ভিত্তিহীন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিতভাবে খোলার যে সংবাদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় । বিভ্রান্তিকর এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিসংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়

এর আগে, এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। আগামী ১৫ নভেম্বর খুলবে কিনা, নাকি বন্ধ রাখব, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য সীমিত আকারে আমরা শুরু করতে পারব-এসব বিষয় নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। ১৪ নভেম্বরের আগে আমরা সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দিতে পারব। কারণ, ১৪ তারিখের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে। কাল (বৃহস্পতিবার) বা পরশুর (শুক্রবার) মধ্যে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হবে।

শিক্ষামন্ত্রী এই বক্তব্যের পরে দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার চিন্তা করছে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায় এমন আভাস পাওয়া গেছে। তার পরপরই সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেখা দেয় বিভ্রান্তি।

গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় বাড়ানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়। বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে বলেও জানানো হয়।

তবে দুপুরে অনলাইনে সাংবাদিকদের এক আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কিনা, নাকি এই ছুটিটি আরও বাড়বে নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারবো- এসব বিষয় নিয়ে এখনও কাজ চলামান। তবে ১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দিতে। কারণ, ১৪ তারিখের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে।

মার্চে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ছুটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে কার্যক্রম শুরুর গুঞ্জন চলছে।