অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি সাফায়েত জামিলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিন আসামির পক্ষে আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম জামিনের আবেদন শুনানি করেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাফায়েত জামিল। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। এরপর তিনজন উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং আরেক সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে অধিক মাত্রায় মদ পান করান।
অতিরিক্ত মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই শিক্ষার্থী বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
এ অভিযোগে ৩১ জানুয়ারি ৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা।