ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

শিক্ষার্থী পায়েল হত্যায় হানিফ পরিবহণের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

News Editor
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / ১১০৭ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হানিফ পরিবহণের চালক ও সহকারীদের হাতে নিহত বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই বছর তিন মাস পর চলতি বছরের ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আজকের এই তারিখ ঘোষণা করেছেন ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তিন আসামি কারাগারে রয়েছে।

ডিবি পুলিশের হাতে ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

নিহত পায়েল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গোলাম মাওলার ছেলে। লাশ উদ্ধারের পরদিন হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জামাল ও ফয়সাল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের ভালবো বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পরদিন ভোরে তিনি বাস থেকে প্রস্রাব করতে নামেন। বাসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আহত হন পায়েল। দায় এড়াতে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে আহত পায়েলের মুখ থেঁতলে নদীতে ফেলে দেয়। লাশ উদ্ধারের পরদিন নিহতের মামা মামলা করেন।

ওই মামলায় গ্রেফতার বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল ও সহকারী ফয়সালকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের জামিন বাতিল করে ও ১ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।

শিক্ষার্থী পায়েল হত্যায় হানিফ পরিবহণের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হানিফ পরিবহণের চালক ও সহকারীদের হাতে নিহত বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই বছর তিন মাস পর চলতি বছরের ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আজকের এই তারিখ ঘোষণা করেছেন ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তিন আসামি কারাগারে রয়েছে।

ডিবি পুলিশের হাতে ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

নিহত পায়েল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গোলাম মাওলার ছেলে। লাশ উদ্ধারের পরদিন হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জামাল ও ফয়সাল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের ভালবো বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পরদিন ভোরে তিনি বাস থেকে প্রস্রাব করতে নামেন। বাসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আহত হন পায়েল। দায় এড়াতে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে আহত পায়েলের মুখ থেঁতলে নদীতে ফেলে দেয়। লাশ উদ্ধারের পরদিন নিহতের মামা মামলা করেন।

ওই মামলায় গ্রেফতার বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল ও সহকারী ফয়সালকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের জামিন বাতিল করে ও ১ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।