শৈলকুপায় আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামীলীগের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৫ অক্টোবর) দিবগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মিনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
নিহত ব্যক্তি হলো, আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে হাবিবুর রহমান রিপন। তিনি উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডর সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
আহতেরা হলো, কাজী আমিনুর ও রাসেল জোয়ার্দার। আহত আমিনুর রহমান ফরিদপুর সদর হাসপাতালে এবং রাসেল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
স্থানীয় ও পুলিশের সূত্র মতে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার ১১ নম্বর আবাইপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের সমর্থক, সাবেক ইউপি সদস্য রঞ্জু গ্রুপ এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধার সমর্থক হাবিবুর রহমান রিপন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরে গত ১৪ অক্টোবর রিপন গ্রুপের সমর্থক মুস্তাক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে রঞ্জু গ্রুপের সমর্থকেরা। পাল্টা জবাবে রিপন গ্রুপের সমর্থকেরা রঞ্জু গ্রুপের সমর্থক টোটন হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার রাতে শৈলকুপা থানায় দু-পক্ষের বিরোধ মীমাংসার জন্য কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠকের পর থানা থেকে রাতে রিপন মেম্বারসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মিনগ্রামের পাশে আবাইপুর এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রাতেই আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমার পরিষদের মেম্বার রাতে শৈলকুপা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হামলায় কুপিয়ে আহত হয়। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা গেছে।
এ ঘটনায় পর আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ নেতা-কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি ঠাকুর দাস বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে গত রাতে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে মীমাংসা করা হয়। মীমাংসার পর রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হন ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান রিপন।