শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৮৭
স্পোর্টস ডেস্ক :তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে সফরকারী শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ পেয়েছে লংকানরা।নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছয় উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। দলের হয়ে তার সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন দানুশকা গুনাথিলাকা। ইনিংসের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে যেন আক্রমণাত্মক শুরুর আভাস দেন তিনি।
এরপর শুরুর ধারা বজায় রেখে প্রায় প্রতি ওভারেই রান তুলেছেন পেরেরা ও গুনাথিলাকা। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা যোগ করেন ৭৭ রান। দুজনের ব্যাটে যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় লংকানরা, তখনই আঘাত হেনে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাসকিন।
দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৯ রান করা গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন তাসকিন। এরপর একই ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে পাথুম নিশাংকাকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
এর কিছু পরে ফিফটি পূরণ করেন কুশল পেরেরা। ৪৪ বলে এই মাইলফলকে পৌঁছান লংকান অধিনায়ক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে আবারো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তারের পথে ছিল শ্রীলংকা।
এমতাবস্থায় আক্রমণে এসেই দল ও নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন। ২২ রান করা মেন্ডিসকে অধিনায়ক তামিমের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মাঝে ৯৯ বলে সেঞ্চুরি পূরন করেন কুশল পেরেরা।
অবশ্য এর আগে তিনবার জীবন পান পেরেরা। ৯৯ রানে থাকা অবস্থায় মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অতি সহজ তথা ‘লোপ্পা’ সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরের বলেই সেঞ্চুরি পূরণ করেন লংকান অধিনায়ক।
শেষ পর্যন্ত রিয়াদের তালুবন্দী হয়ে ১২০ রান করে আউট হন পেরেরা। বোলার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। দুর্দান্ত থ্রোতে মাত্র ৭ রান করা নিরোশান ডিকওয়েলাকে রান আউট করেন এই বোলার। এরপর ১৮ রান করা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
ইনিংসের শেষ ওভারে শরিফুলকে চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাঁফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।