সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র বিক্ষোভ ও সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে খাগড়াছড়ির জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম। আজ সোমবার (৩০ জুন/২০২৫) সকাল ১০টা থেকে এ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনগুলো।
এসময় সংগঠনগুলো “উগ্র বাঙালী জাতীয়তা ছাড়, নতুন সংবিধান প্রণয়ন কর, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণা ও স্ব স্ব জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, সংবিধানে ‘বাঙালি জাতীয়তা’ চাপিয়ে দেয়া বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী এখনো বাতিল হয়নি। জাতীয় সংসদে সংবিধানের বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের ভিন্ন ভাষাভাষী সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ। আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যাগরিষ্টতার জোরে তড়িঘড়ি করে সংসদে উক্ত পঞ্চদশ সংশোধনী বিলটি পাস করে নেয়। এতে ৬ অনুচ্ছেদের (২)-এ বলা হয়েছে “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিতি হইবেন”। যদিও কারা জনগণ আর কারা নাগরিক কিংবা জনগণ ও নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য কী তার কোন ব্যাখ্যা সরকার দেয়নি।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কার্যত দেশে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, খিয়াং, ম্রো, খুমি, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, পাংখো, রাখাইন, সান্তাল, গারো, মনিপুরি, ওঁরাওসহ দেশে বসবাসরত ৪৫টির অধিক জাতিসত্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে উক্ত বক্তাগন বলেন, বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে ব্যাপক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়েছে। এখনো প্রতিবাদ চলমান রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার শাসনামলে এ সংশোধনী বাতিল বা সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কাজেই অন্তর্বতী সরকার ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের উচিত হবে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক নিজেদেরকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সংবিধান থেকে রহিত করা।