ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo আইনজীবী ও বিএনপি নেতার নাম জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের ক্ষোভ Logo ইরানকে সহায়তা করায় ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Logo খাগড়াছড়িতে ১৮ বছর পর ধানের শীষের পথ সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি Logo বাংলাদেশের ১১ জেলাকে সংযুক্ত করে বানাতে চায় ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ Logo সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত-মিয়ানমার, বাংলাদেশ করছে প্রত্যাহার! Logo আ.লীগের আগ্রাসনের প্রতিবাদে পানছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মসজিদের মুয়াজ্জিনের মর্মান্তিক মৃত্যু

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬৭ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মসজিদের মুয়াজ্জিনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় তিনি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলেও কেউ তার পাশে যায়নি করোনার ভয়ে। আশপাশের লোকজনকে ডাকলেও করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। বিদেশ গমন্নেছুদের করোনা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন চলছিল তখন। এ সময় অদূরে কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পড়েছিলেন সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা সুলতান আহমদ (৫০)।

রোববার জোহরের আযানের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। আশপাশের লোকজনকে ডেকেও ছিলেন কয়েকবার, কিন্তু করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি প্রথমে সিভিল সার্জন অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও এগিয়ে আসেননি।

চতুর্থ দফা বন্যায় পানির নিতে আমন ধান

পরে সিভিল সার্জন অফিসের নিরাপত্তাকর্মী সুশীল মোহন্ত কয়েকজনের সহায়তায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। সিএনজি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নেয়া হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা সুলতান আহমদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকক্ষণ সময় মাওলানা সুলতান কার্যালয়ের সামনে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশ গমন্নেছুদের কেউও সহায়তা করতে যাননি।

মাওলানা সুলতান আহমদ সিভিল সার্জন অফিসের প্রায় ২০-২২ বছর ধরে মাওলানা সুলতান মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছিলেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক মাওলানা সুলতানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আর পরিবারের সদস্যরা থাকেন নেত্রকোনায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মসজিদের মুয়াজ্জিনের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মসজিদের মুয়াজ্জিনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় তিনি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলেও কেউ তার পাশে যায়নি করোনার ভয়ে। আশপাশের লোকজনকে ডাকলেও করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। বিদেশ গমন্নেছুদের করোনা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন চলছিল তখন। এ সময় অদূরে কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পড়েছিলেন সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা সুলতান আহমদ (৫০)।

রোববার জোহরের আযানের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। আশপাশের লোকজনকে ডেকেও ছিলেন কয়েকবার, কিন্তু করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি প্রথমে সিভিল সার্জন অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও এগিয়ে আসেননি।

চতুর্থ দফা বন্যায় পানির নিতে আমন ধান

পরে সিভিল সার্জন অফিসের নিরাপত্তাকর্মী সুশীল মোহন্ত কয়েকজনের সহায়তায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। সিএনজি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নেয়া হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা সুলতান আহমদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকক্ষণ সময় মাওলানা সুলতান কার্যালয়ের সামনে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশ গমন্নেছুদের কেউও সহায়তা করতে যাননি।

মাওলানা সুলতান আহমদ সিভিল সার্জন অফিসের প্রায় ২০-২২ বছর ধরে মাওলানা সুলতান মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছিলেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক মাওলানা সুলতানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আর পরিবারের সদস্যরা থাকেন নেত্রকোনায়।