আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সিরিয়ার ভূখণ্ডে অবৈধভাবে দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়া-ইরাকের সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০ বারের বেশি বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) গভীর রাতে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় সামরিক বাহিনী ও অস্ত্র ভাণ্ডারের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয় বিমান হামলা। হামলায় কমপক্ষে পাঁচ সিরীয় সেনা এবং তাদের মিত্রদের ১১ সৈন্য নিহত হন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আজ জর থেকে শুরু করে আল-বুকামাল মরুভূমি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থাপনায় অন্তত ২০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ মনিটরের তথ্যমতে, ইসরাইলি বিমানবাহিনী সিরিয়ার দেইর এজ জোর থেকে সিরিয়ার-ইরাকি সীমান্তের আল-বুকামাল বিস্তৃত এলাকায় একাধিক অবস্থান শনাক্ত করে ১৮টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের অভিযানের সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সানার খবরেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিরিয়ায় গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ হামলায় ১০ সিরীয় সেনা এবং তাদের মিত্র ৪৭ জন বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত বিদেশিদের জাতীয়তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় আরো ৩৭ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপি’কে জানান, মার্কিনিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সিরিয়ায় এ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলার লক্ষ্যবস্তু স্থাপনাগুলোতে ইরানি অস্ত্র মজুত রাখা হতো। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণের পাইপলাইন হিসেবেও ওইসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করেছেন তিনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, গত সোমবার ওয়াশিংটনের একটি সুপরিচিত রেস্টুরেন্টে বসে ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেনের সঙ্গে সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে আলোচনা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ায় এটি ইসরাইলের দ্বিতীয় হামলা। গত ৭ জানুয়ারি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ইরানপন্থি তিন যোদ্ধা।