আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবের প্রধান তেল স্থাপনায় আবারও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। স্থানীয় সময় রোববার রাস তানুরায় অবস্থিত সৌদি আরামকো তেল কারখানায় ওই হামলা চালানো হয়। বৈশ্বিক তেল সরবরাহের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সৌদি।
এদিকে, তেল স্থাপনায় হামলার কথা স্বীকারের পাশাপাশি হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে তারা সৌদির দাম্মাম, আসির এবং জাজান শহরে দেশটির বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
সৌদির জ্বালানী মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাস তানুরায় দেশটির প্রধান তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হলেও সেখানে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। ওই তেল স্থাপনায় তেল পরিশোধন করা হয় এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল স্থাপনা।
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ধাহরানের আরামকো আবাসিক কম্পাউন্ডের কাছেই একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের হামলা শুধুমাত্র সৌদির ওপরই নয় বরং বিশ্বব্যাপী জ্বালানী সরবরাহের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা, একই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বড় হামলা।
এদিকে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া সেরিয়া জানিয়েছেন, তারা সৌদি সীমান্ত দিয়ে ১৪টি ড্রোন এবং ৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। সৌদির প্রাণকেন্দ্রে এটি বড় ধরনের হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে এই হামলার পর সৌদি আরবে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাস সেখানে অবস্থিত মার্কিন নাগরিকদের ধাহরাম, দাম্মাম এবং সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খোবারে সম্ভাব্য বিস্ফোরণ ও হামলা সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি জোটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির তেল স্থাপনায় হুথিদের হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের সুরক্ষার জন্য এবং জ্বালানী সরবরাহের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য তারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।