প্রতিপক্ষের তারকাসমৃদ্ধ আক্রমণভাগের পাল্টা জবাব দিতে শুরু থেকে পেরুও খেলতে থাকে আক্রমণাত্মক ফুটবল। কাঙ্ক্ষিত ফলও মেলে। দু’দফায় এগিয়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল দলটি। তবে নেইমারের দারুণ হ্যাটট্রিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে ফিরেছে ব্রাজিল।
প্রতিপক্ষের মাঠে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে ৪-২ গোলে জিতেছে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
প্রতিপক্ষে ভুলের সুযোগ নিয়ে শুরুটা ভালো করে পেরু। ডি-বক্সে সতীর্থের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন স্বাগতিকদের এক মিডিফল্ডার। ক্লিয়ার করতে গিয়ে মার্কিনিয়োস উল্টো ডি-বক্সের বাইরে আন্দ্রে কারিয়োর পায়ে তুলে দেন। জোরালো ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
খানিক পর আরেকটি ধাক্কা খায় ব্রাজিল। ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজি ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।
আট মিনিট পর সমতা টানার সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন রবের্তো ফিরমিনো। রিশার্লিসনের হেডে বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
২৮তম মিনিটে নেইমারের সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। ডি-বক্সে পিএসজি ফরোয়ার্ডকে পেরুর মিডফিল্ডার ইয়োতুন জার্সি টেনে ধরে খেলতে বাধা দেওয়ায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
তিন মিনিট পর আবারও জালে বল পাঠিয়েছিলেন নেইমার। তবে আক্রমণের শুরুতে রিশার্লিসন অফসাইডে থাকায় বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি। ৪১তম মিনিটে ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে সতীর্থের ক্রস পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে দলের হতাশা বাড়ান ফিরমিনো।
কিছুটা সৌভাগ্যসূচক গোলে ৫৯তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় পেরু। তাদের এই গোলটির শুরুও কিছুটা প্রথমটির মতো। ইয়োতুনের লম্বা থ্রো ইন হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে তুলে দেন রদ্রিগো কাইয়ো। ডি-বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো ভলি মারেন রেনাতো তাপিয়া। সামনে একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
এ যাত্রায় গোল শোধ করতে একটুও দেরি করেনি ব্রাজিল। ৬৪তম মিনিটে নেইমারের দূরের পোস্টে নেওয়া কর্নারে ফিরমিনোর হেডে বল লক্ষ্যেই ছিল। আরও নিশ্চিত হতে গোললাইনের মুখ থেকে টোকায় বল জালে জড়ায় এভারটন ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন। অফসাইড ছিল কি-না, দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
৭৭তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট হয় ব্রাজিলের। এভেরতনের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে খানিক আগে বদলি নামা এভেরতন রিবেইরো শরীরটাকে ঘুরিয়ে যে শট নিলেন তা লক্ষ্যের ধারেকাছেও ছিল না।
৮৩তম মিনিটে নেইমারের আরেকটি সফল স্পট কিকে ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ডি-বক্সে এই তারকাই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা
(বিস্তারিত আসছে)