প্রশ্নটি করেছেন অহনা জান্নাত, উখিয়া, কক্সবাজার থেকে ইসলাম এক উন্নত জীবনের ধর্ম। যার শিকড় তো জমিনে প্রোথিত, কিন্তু শিকড় নশ্বর এ জগতের পরিধি ছাড়িয়ে মৃত্যুর পরের অনন্ত জগত অবধি বিস্তৃত। এর বিশ্বাস ও জীবন ব্যবস্থার প্রতি সমর্পিত মুমিন বান্দার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এ ধর্মের অন্যতম সৌন্দর্য। যার মাঝে উন্নত চরিত্র বিদ্যমান তাকে সর্বোত্তম মুমিন স্বীকৃতি দিয়ে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে- মুমিনদের মধ্যে ইমানে অধিক পরিপূর্ণ সে, তাদের মধ্যে চরিত্রে যে উত্তম।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি)।
পক্ষান্তরে যার মাঝে এ গুণ নেই, যে স্বভাবে কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক এবং যে ব্যক্তি মানুষের কাছে এমন বিষয় নিয়ে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার কাছে নেই, রাসুল (সা.) এমন ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ওই লোকও নয়, যে এমন সব বিষয়ে মানুষের কাছে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার কাছে নেই। (আবু দাউদ, হাদিস-৪৮০১)।
নামাজে ভুলে উল্টো সিরিয়ালে সুরা পড়লে : নামাজের মধ্যে সুরাসমূহ যে ধারাবাহিকতায় বিন্যস্ত, তা যদি ভুলে ঠিক না রেখে উল্টো (প্রথম রাকাতে সুরা কাওসার এবং পরের রাকাতে সুরা ফিল) পড়া হয়, তবে কি নামাজ আদায় হবে? নাকি এর জন্য সিজদায়ে সাহু দিতে হবে?
এভাবে ইচ্ছাকৃত তিলাওয়াত করা মাকরূহ। ভুলবশত হলে মাকরূহ হবে না। তবে এক্ষেত্রে সিজদায়ে সাহুর প্রয়োজন নেই।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউস (রা.)কে ওই লোকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে কোরআন শরিফ উল্টো তারতীবে পড়ে। তিনি বললেন, সে তো উল্টো অন্তরের (কারণ লোকটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করে পড়ত)।