স্পোর্টস ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাফল্যের পর জিম্বাবুয়ে সফর জয় দিয়ে শুরু করেছে পাকিস্তান।যদিও এ জয় পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে সফরকারীদের।
দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ১১ রানের ব্যবধানে জিতেছে বাবর আজমের দল।
বুধবারের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের।এক কথায় পাকিস্তানের মান বাঁচালেন রিজওয়ান একাই।
পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে তিন চার ও এক ছক্কায় মোহাম্মদ রিজওয়ান তুলে নেন ২০ রান একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গেল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়েরও দরকার ছিল ২০ রান। কিন্তু রিজওয়ানের মতো ঝড় তুলতে পারেননি লুক জঙ্গে (৩০*)। তাতেই স্বস্তির জয় পায় পাকিস্তান।
হারারেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর ৮ রান করে বিদায় নেন। এর পর জিম্বাবুয়ের বোলারদের কাছে ধরাশায়ী হতে থাকে একের পর এক পাক বাটসম্যান।
পেসার মুজারাবানি ও জঙ্গে এবং মাধেভেরের ঘূর্ণিবলে ব্যাটসম্যানরা শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। বাবরের পর ফখর জামান ১৩, মোহাম্মদ হাফিজ ৫, হায়দার আলী ৫ ও ফাহিম আশরাফ মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
৯০ রান তোলার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ওদিকে একপ্রান্ত ধরে খেলে যাচ্ছিলেন রিজওয়ান। এই ৯০ রানের মধ্যে রিজওয়ানেরই ছিল ৪৬ রান।
৪৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন রিজওয়ান। এ সময় দলের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৮ রান। কিন্তু ১৫তম ওভারে জোড়া শিকার করেন জঙ্গে। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হতেই ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
রিজওয়ান তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে যেতেই থাকেন। শেষ ওভারে রিজওয়ান ২০ রান নিলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে পাকিস্তান। এ সংগ্রহের মধ্যে একারই ৮১ রান। ৬১ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে এই ইনিংস সাজান রিজওয়ান।
১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানকে ভড়কে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দলীয় প্রচেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখেনি অল্পের জন্য। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৮ রান, ৮ উইকেট হারিয়ে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৩৪ রান করেন ক্রেইগ আরভিন। এ ছাড়া জঙ্গের অপরাজিত ৩০ এবং তিনাশে কামুনহুকামওয়ে ২৯ রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে উসমান কাদির তিনটি ও মোহাম্মদ হাসনাইন দুটি উইকেট শিকার করেন।এক কথায় পাকিস্তানের মান বাঁচালেন রিজওয়ান। ম্যাচেরসেরার পুরস্কার তার হাতেই ওঠে।