যশোর প্রতিনিধি : ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক মিলে তিনদিনের টানা ছুটির পর রোববার (১৬ মে) প্রথম কার্যদিবসে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ফেরেনি কর্মচাঞ্চল্য। উভয় দেশের বন্দর ব্যবহারকারীরা সকাল থেকে কাজ শুরু করলেও মালামাল তেমন খালাস হয়নি। ফলে বন্দরে পণ্যজট দেখা দিয়েছে। পণ্যজটের কারণে ভারত থেকে কয়েকশ’ ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় বন্দরের টার্মিনালে অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে করোনার কারণে পশ্চিমবঙ্গে দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার পর বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল রয়েছে।
কাস্টম ও বন্দর সূত্র জানায়, রোববার অফিস খুললেও তেমন কাজ হয়নি। বেনাপোল কাস্টমসে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন তাদের অনেকে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি কাঁচামাল ছাড়া তেমন মালামাল খালাস হয়নি। বন্দর দিয়ে যেখানে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আসে ও ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে যায় সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত ভারত থেকে এসেছে ১৭০ ট্রাক এবং ভারতে গেছে মাত্র ৩৮ ট্রাক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে গেছেন তারা আসতে পারেননি। তাদের ফিরতে আরও দু-তিনদিন লাগবে। তখন বন্দর ও কাস্টমসে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ ট্রাক মালামাল খালাস হয়। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত ২০০ ট্রাক লোড হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কিছু ট্রাক লোড হবে। তিনি আরও জানান, দ্রুত পণ্য খালাসে সর্বাত্মক ভাবে কাজ চলছে। অনেক ভারতীয় ট্রাক পণ্য খালাসের অপেক্ষায় বন্দরের টার্মিনালে অবস্থান করছে। বন্দর থেকে পণ্য খালাস হওয়ার পর এসব পণ্য পর্যায়ক্রমে সেখানে রাখা হবে।