পল্লী বিদ্যুত কতৃপক্ষের অবহেলায় পুড়ে ছাই প্রায় শতাধিক মিটার
সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া পল্লী বিদ্যুত লাইনের সর্ট সার্কিট হয়ে প্রায় শতাধিক বিদ্যুতের মিটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ উপজেলা পল্লী বিদ্যুত অফিসের ডিজিএমকে বার বার ফোন দিলেও কোন সাড়া মেলেনি বরং ফোন কেটে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়াতে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে থাকা ও দোকানপাট বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ বলে জানিয়েছেন পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন৷
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকালে উপজেলা পৌরসভার পাল বাড়ি এলাকায় নজরুল ইসলামের চায়ের দোকান সংলগ্ন খুঁটিতে এ পল্লী বিদ্যুতের সর্ট সার্কিটের এ ঘটনা ঘটে৷ কাউন্সিলর ও জনসেবা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পালবাড়ি মোড়ের নজরুল ইসলামের চায়ের দোকান সংলগ্ন কারেন্টের খুটিতে আগেও কয়েকদিন সার্কিট হয়েছে এবিষয়ে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ ডিজিএমকে জানাতে তার ব্যাক্তিগত মুটোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি৷
আজ সকালে প্রথম সার্কিট হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কল দিয়ে প্রাথমিক ভাবে বন্ধ রাখা হয় কিন্তু মেরামত না করে ১০ মিনিট পরেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে আশপাশে থাকা ভবন ও দোকান পাটের বিদ্যুৎ সংযোগ মিটার বাস্ট হয়ে টিভি ফ্রিজ চার্জে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্লিনিকের বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা সেবার যন্ত্রপাতির বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে৷এমনকি আশপাশের অর্ধ শতধিক মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয় এসময় তিনি ক্লিনিক ও দোকান পাটের ক্ষতি পূরণের দাবি করে প্রশাসনের নিকট ডিজিএম কে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবী করেন৷
তিন তলা ভবনের মালিক কবি আজগর আলী বলেন,প্রতিনিয়ত এখানে সার্কিট হয় পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্র অভিযোগ দিলেও দায়িত্বে থাকা ডিজিএম এর নিকট কোন গুরুত্ব পাওয়া যায় নি৷ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ভবনে অয়রিং করিয়েছি৷ মিটারের পাশাপাশি টিভি ফ্রিজ চার্জে থাকে মোবাইল ফোন পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে৷বিদ্যুত লাইন মেরামত না করাতে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতি পূরণ পেতে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷
মিম স্টোরের মুদি দোকান ব্যাবসায়ী জাহিদ হাসান (বুলু)বলেন,সকালে কারেন্টের খুটিতে আলো জ্বলে উঠলে সাথে সাথে স্থানীয় বিদ্যুত অফিসের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করলে লাইন অফ করে৷ ১০ মিনিট পরে লাইন মেরামত না করে পুনরাই সংযোগ দিলে এখানকার প্রতিটি দোকানের মিটারসহ বৈদ্যুতিক খুঁটির কাঠে আগুন ধরে যায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ একদিকে করোনার ক্রান্তি অন্য দিকে লোন নিয়ে দোকানের ফ্রিজ কেনা এখনো টাকা পরিশোধ করতে পারিনি৷
এসময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান উপজেলার ডিজিএম তার ইচ্ছেতে চলছে তিনি জনমানুষের কথা ভাবেননা এমনকি তাকে ফোন দিলেও রিসিভ করেন না যে কারনে আজ সাধারণ মানুষের এত বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে৷ এ ক্ষতি পূরণ পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করেন৷
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী ডিজিএম মো: নুরুল ইসলাম বলেন, আমার ফোনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন কল আসেনি৷ তবে সকালে বিদ্যুতের তারে পাখি পড়াতে এ ঘটনা ঘটে৷ প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে যে কয়টি মিটার নষ্ট হয়েয়ে তা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ তবে তিনি এ দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন৷