শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা(চট্রগ্রাম)প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কবিরার দোকান বখতিয়ার সড়ক থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের অংশের নাজুক অবস্থা।
সড়কটির কোথাও পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে আছে। কোথাও পিচ-খোয়া দুই-ই উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায়। রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েয় এতে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থী, যানবাহন চালক, যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষু রোগীদের আনা-নেওয়া করতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীর স্বজনরা।
সড়কটি দিয়ে যানবাহনের ভোগান্তি ও ধুলাবালিতে যাতায়াত ও হাঁটাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবিরের দোকান থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার মাঝে মাঝে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চার ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। রাস্তাটি এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ হওয়ায় মহাদুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
শুকনো মৌসুমে চলাচল করা গেলেও দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে।দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় রাস্তার ছোট-বড় গর্তে উল্টে পড়তে হয় সিএনজি, রিকশা, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেলসহ ছোটখাটো যানবাহন,পথচারীদের হাঁটাও কষ্টকর। দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় মুহাম্মদ করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটিও বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় দীর্ঘ দেড় বছর ধরে চার ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের কস্ট হচ্ছে। সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
সিএনজি অটোরিকশার চালক মুহাম্মদ কাশেম বলেন, বর্তমানে এই রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। রাস্তা বেহালের কারণে গাড়ি চালাতে মন চাই না। সংসারের কথা চিন্তা করে কষ্ট করে গাড়ি চালাচ্ছি। সড়কটি সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বললে, এ প্রকল্পের অনুমোদন হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ এলে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করব।
আনোয়ারা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসলেই আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করব।