যতদিন বেঁচে থাকবো গান লিখে যেতে চাই
বিনোদন ডেস্কঃ
সজীব ইসলাম সাগর, তরুণ গীতিকবি। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার কথায় বেশ কিছু গান। প্রত্যাশা, আজীবন গান লিখে যাবার।
দৈনিক আস্থা’র আজকের আয়োজনে আমাদের সাথে আছেন সজীব ইসলাম সাগর। চলুন কিছু গল্প হয়ে যাক।
জানঃ কেমন আছেন ভাই?
সজীবঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
জানঃ আছি ভালোই। দিনকাল কোমন চলছে?
সজীবঃ আলহামদুলিল্লাহ চলছে ভালোই ।
জানঃ লেখালেখি কেমন চলছে?
সজীবঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলে কিন্তু বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আগের মতো লেখালেখি করার সময় পাই না।
জানঃ লেখালেখির অনুপ্রেরণা ও শুরুটা কীভাবে করলেন?
সজীবঃ লেখালেখি করার শখ ছোটবেলা থেকেই ছিলো ছন্দো কবিতা লিখতাম। কিন্তু একটু বড় হওয়ার পর গান লেখার শখ জাগে তাই টুকটাক গান লিখতাম।
জানঃ আচ্ছা। আপনার প্রকাশিত সর্ব প্রথম গানের অনুভূতিগুলো কেমন ছিলো?
সজীবঃ সেই অনুভূতিটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না সেটা এক অন্যরকম অনুভূতি। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আমি কখনো ভাবি নি আমার লেখা গান কখনো প্রকাশিত হবে। এটা আমার কাছে সারপ্রাইজ ছিল। আমার লেখা প্রথম গান প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে । গানের শিরোনাম ছিল “মনতো হারিয়েছি কবে” আর গানটি গেয়েছিলো দীপ ভৌমিক।
জানঃ সামনে আরও কী কী কাজ আসছে?
সজীবঃ বর্তমানে আমার বেশ কয়েকটা গানের কাজ চলছে সবগুলো গান প্রকাশ হতে একটু সময় লাগবে। তবে খুব তাড়াতাড়ি একটা গান আসবে গানের শিরোনাম “কি করে বল ভুলবো তোকে” গানটি গেয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জনি খন্দকার।
জানঃ আচ্ছা, আপনি লেখালেখি করছেন, আপনি কী মনে করেন যে কেউ লেখালেখি করেই জীবিকার প্রয়োজন মেটাতে পারে?
সজীবঃ আমার মতে না। একজন মানুষ কখনোই লেখালেখি করে তার জীবিকার প্রয়োজন মেটাতে পারবে না। যে এটা ভাববে লেখালেখি করে আমি আমার জীবিকার সকল প্রয়োজন মেটাবো তাহলে তাকে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে।
জানঃ আপনার আক্ষেপ কী? আপনার আশা কী?
সজীবঃ আক্ষেপ এর কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মিউজিক কোম্পানি আছে যারা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে অনেক প্রতিভাবান গায়ক, মিউজিসিয়ান, লেখক আছে কোম্পানি তাদেরকে কোন সুযোগ দিচ্ছে না। অনেক নতুন গায়ক, মিউজিসিয়ান, লেখক আছে যারা কোম্পানিকে টাকা দিয়ে তাদের গান প্রকাশ করছে। এতে করে আমাদের দেশের অনেক প্রতিভাবানরা পিছিয়ে আছে। এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা আক্ষেপ। আমি চাই বাংলাদেশের মিউজিক কোম্পানিগুলো নতুন প্রতিভাবানদের সাপোর্ট করুক।
আর আমার আশার কথা যদি বলতে চাই তাহলে ইচ্ছা আছে যতদিন বেঁচে থাকবো গান লিখে যেতে চাই।
জানঃ আপনার সবচেয়ে প্রিয় লেখক ও প্রিয় গায়ক কে?
সজীবঃ প্রিয় লেখক কবীর বকুল স্যার। পছন্দের গায়ক অনেক জনই আছে। তবে আমার পছন্দের তালিকায় সবার আগে ইমরান মাহমুদুল ভাই কে রাখবো। ইমরান মাহমুদুল ভাইকে আমি বর্তমান প্রজন্মের লিজেন্ড মনে করি।
জানঃ কেমন বই পড়তে ভালোবাসেন?
সজীবঃ ছোটবেলায় অনেক বই পড়তাম কিন্তু এখন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আগের মত বই পড়া হয় না। বিভিন্ন উপন্যাসের বই পড়তে অনেক পছন্দ করি।
জানঃ আজ থেকে দশ বছর পর নিজেকে আপনি কেমন দেখতে চান?
সজীবঃ আসলে এটা বলা একটু কষ্টকর কারণ আগামী দশ বছর পর আমি কি অবস্থায় থাকবো বেঁচে থাকবো কিনা সেটাও ভাবতে হবে। যদি বেঁচে থাকি তবে ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে গান লিখে অনেক দূর এগিয়ে যেতে ।
জানঃ দেশের জন্য কী করতে পারলে আপনি নিজেকে গর্বিত মনে করবেন?
সজীবঃ ইচ্ছে আছে বাংলাদেশের কোন একজন গুনি ও ভালো মানুষকে নিয়ে একটা বই লিখতে যে বইটা পড়ে সব সময় মানুষ আমাকে স্মরণ করবে তাহলে নিজেকে আমি গর্বিত মনে করবো।
জানঃ আচ্ছা, আমরা একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি দৈনিক আস্থা’র এই আয়োজন কেমন লাগলো?
সজীবঃ অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দৈনিক আস্থাকে। আমাকে এতো সুন্দর একটা আয়োজনে রাখার জন্য। শুভকামনা রইলো দৈনিক আস্থার জন্য।