দিনাজপুরে মাটিতে রহস্যজনক গর্ত
নিজামুল ইসলাম/দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ৫ নং শশরা ইউনিয়নের উমরপাইল গ্রামে ৮ টি পয়েন্টে সিঙ্কহোলের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এর আগে সিঙ্কহোলের রেকর্ড নেই। মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্চাতের দেশগুলোতে সিঙ্কহোলের দেখা পাওয়া যায়।
সংক্ষেপে সিঙ্কহোল হলো প্রকৃতিতে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া বিশালাকার গর্ত। সাধারণত বৃষ্টির পানি মাটির নিচে একটি স্তরে গিয়ে জমা হয়। বিভিন্ন কারণে যখন সেই পানি উত্তোলন করা হয়, তখন মাটির নিচে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। যখন মাটির উপরিভাগের ওজন বেশি হয়, তখনই ফাঁকা জায়গায় ভূমিধস হয়ে বিশালাকার গর্ত তৈরি হয়।
এছাড়াও মাটির নিচে যেখানে চুনাপাথর, কার্বনেট শিলা, লবণের স্তর, পাথর, বালি ইত্যাদি বেশি পরিমাণে রয়েছে সেখানে সিঙ্কহোল বা বিশাল আয়তের গর্ত সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির মাধ্যমে খনিজ পদার্থ দ্রবীভূত হয়।
শিলা দ্রবীভূত হলে মাটির নিচে ফাঁকা জায়গা বৃদ্ধি পায়। ক্রমে ক্রমে ফাঁকা স্থানের বৃদ্ধির ফলে মাটির উপরিভাগের ভার অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। একসময় উপরিভাগের ভূমিধস ঘটে সিঙ্কহোল সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রশাসক দিনাজপুর-এর নেতৃত্বে আজকে সিঙ্কহোল স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরানো হয় এবং লাল রঙের কাপড় দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
পরবর্তীতে হাবিপ্রবি মৃত্তিকা বিভাগের শাহাজাদ ইসলাম জানায়: মাটির নিচে পানির স্তর দেবে যাওয়ার এ গঠনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো জানান আমরা আরো ভালো করে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখব নিচে কোনো প্রকৃতিক কোনো সম্পদ আছে কিনা।