হিমাগার ভরপুর ফাঁকা আলুর শেড
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারক করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা। এ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন হিমাগারে আলু বেচাকেনা চলেছে। বন্ধ ছিল কালাই পৌর শহরের নরওয়েস্ট হিমাগার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে হিমাগার গেটে পাইকারি ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে আলু কেনাবেচা হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এ অবস্থায় সরকার হিমাগার গেটে আলু পাইকারি সর্বোচ্চ ২৭ টাকা কেজি বিক্রির জন্য দর বেঁধে দেয়। কিন্তু তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা।
নরওয়েস্ট হিমাগারের ব্যবস্থাপক মুক্তার হোসেন বলেন, ৮৫ হাজার বস্তা ধারণক্ষমতা থাকলেও সংরক্ষণ ছিল ৩৬ হাজার ৭শ বস্তা আলু। যেদিন দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকেই এ অবস্থা। ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি না করলে তাদের কিছু করার নেই। বিক্রি বন্ধ থাকায় শেড ফাঁকা। সংরক্ষণের মেয়াদ আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সে কারণে ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতে খারুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে আলুর দাম এত বেশি। হিমাগারগুলোয় পর্যাপ্ত আলু সংরক্ষিত আছে, এমন তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকা কেজির বিপরীতে বেশি দরে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রথম পর্যায়ে জরিমানাসহ তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। নরওয়েস্ট হিমাগারকে সতর্ক করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণ করা আলু ব্যবসায়ীদের তালিকা চেয়েছেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।