ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বিনয় ও নম্রতা

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৭২ বার পড়া হয়েছে

বৈচিত্র্যময় এই দুনিয়ায় যে সকল উত্তম গুণাবলী মানুষকে প্রকৃত মর্যাদার আসনে সমাসীন করে, তন্মধ্যে বিনয় ও নম্রতা একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) সৃষ্টিজগতের বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ মহান ও মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি বিনয়ী, রহমদিল ও সহমর্মী চিত্তের অধিকারী। (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)।

হযরত ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে লাল উটনীর উপর সওয়ার হয়ে জামরাকে (শয়তানকে) কঙ্কর মারতে দেখেছি। কিন্তু (ভিড়ের মাঝেও) কেউ কাউকে ধাক্কা মারতে দেখিনি এবং কেউ কাউকে হট, সরে যাও বলতে শুনিনি। যেমনটি অন্যান্য আমীর ও সুলতানের সময় হয়ে থাকে। তিনি এতটুকু নরম মেজাজের ছিলেন যে, তিনি গর্দভপৃষ্ঠে জীব ছাড়াই একিট চাদর বিছিয়ে সওয়ার হতেন।

কখনো নিজের পিছনে কাউকে সওয়ার করে নিতেন। তিনি রূগ্ন ব্যক্তিদেরকে রোগের সেবা-শুশ্রƒষা করতেন। জানাযার সাথে গমন করতেন। গোলাম-দাসদের দাওয়াত কবুল করতেন। ছেঁড়া কাপড়ে নিজেই তালি লাগাতেন। তারপর গৃহবাসী আপনজনদের সাথে গৃহস্থালির কাজ করতেন। যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা.) কারোও দ্বারা কাজ সম্পাদন করানোকে পছন্দ করতেন না, এজন্য সাহাবায়ে কেরাম বিনা অনুমতিতে তাঁর কাজ করতেন না। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) শিশু-কিশোরদের নিকট দিয়ে গমন করার সময় তাদেরকে সালাম করতেন। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম : বর্ণনায় হযরত জাবীর (রা.) একদা কোনো এক ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে হাজির করা হলো। সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে কাঁপতে লাগল। তিনি তাকে অভয় ও সাত্ত্বনা দিয়ে বললেন, ভয় করো না, আমি বাদশাহ নই; বরং আমি একজন কুরাইশি মহিলার সন্তান। যিনি শুকনো গোশত ভক্ষণ করতেন। (আবু দাউদ ও নাসাঈ : বর্ণনায় হযরত আবু হোরায়রাহ (রা.)।

ট্যাগস :

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বিনয় ও নম্রতা

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বৈচিত্র্যময় এই দুনিয়ায় যে সকল উত্তম গুণাবলী মানুষকে প্রকৃত মর্যাদার আসনে সমাসীন করে, তন্মধ্যে বিনয় ও নম্রতা একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) সৃষ্টিজগতের বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ মহান ও মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি বিনয়ী, রহমদিল ও সহমর্মী চিত্তের অধিকারী। (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)।

হযরত ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে লাল উটনীর উপর সওয়ার হয়ে জামরাকে (শয়তানকে) কঙ্কর মারতে দেখেছি। কিন্তু (ভিড়ের মাঝেও) কেউ কাউকে ধাক্কা মারতে দেখিনি এবং কেউ কাউকে হট, সরে যাও বলতে শুনিনি। যেমনটি অন্যান্য আমীর ও সুলতানের সময় হয়ে থাকে। তিনি এতটুকু নরম মেজাজের ছিলেন যে, তিনি গর্দভপৃষ্ঠে জীব ছাড়াই একিট চাদর বিছিয়ে সওয়ার হতেন।

কখনো নিজের পিছনে কাউকে সওয়ার করে নিতেন। তিনি রূগ্ন ব্যক্তিদেরকে রোগের সেবা-শুশ্রƒষা করতেন। জানাযার সাথে গমন করতেন। গোলাম-দাসদের দাওয়াত কবুল করতেন। ছেঁড়া কাপড়ে নিজেই তালি লাগাতেন। তারপর গৃহবাসী আপনজনদের সাথে গৃহস্থালির কাজ করতেন। যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা.) কারোও দ্বারা কাজ সম্পাদন করানোকে পছন্দ করতেন না, এজন্য সাহাবায়ে কেরাম বিনা অনুমতিতে তাঁর কাজ করতেন না। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) শিশু-কিশোরদের নিকট দিয়ে গমন করার সময় তাদেরকে সালাম করতেন। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম : বর্ণনায় হযরত জাবীর (রা.) একদা কোনো এক ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে হাজির করা হলো। সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে কাঁপতে লাগল। তিনি তাকে অভয় ও সাত্ত্বনা দিয়ে বললেন, ভয় করো না, আমি বাদশাহ নই; বরং আমি একজন কুরাইশি মহিলার সন্তান। যিনি শুকনো গোশত ভক্ষণ করতেন। (আবু দাউদ ও নাসাঈ : বর্ণনায় হযরত আবু হোরায়রাহ (রা.)।