কিশোরগঞ্জের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের ২২ জুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা, নিয়োগ বাণিজ্য ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিতর্কিত।
এসব বিষয়ে গত ২০২২ সালের ২২ জুন তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বাবু অধ্যক্ষ মো. আল-আমিনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১২টি অনিয়ম-দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠন করলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে আবারও এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের দৌহিত্র আব্দুল লতিফ খান আরজু দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আব্দুল লতিফ খান আরজু’র লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানা গেছে,অধ্যক্ষ আল আমিন ও তার সমমনা কিছু শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের যোগসাজসে সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধভাবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, সরকারি পে-স্কেল লঙ্ঘন করে মনগড়া বেতন কাঠামো তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায়, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা না নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, কলেজের এফডিআর এর টাকা উত্তোলনসহ নানা অবৈধ কাজ করেছে অধ্যক্ষ আল আমিন। এমনকি নিজের অনিয়ম জায়েজ করতে কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদেরও উচ্চশিক্ষার ইনক্রিমেন্ট হিসেবে দিচ্ছেন পিএইচডি ও এমফিল ভাতা। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কম্পিউটার চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, প্রজেক্টর ইত্যাদি মালামাল স্টোক বা অকশন প্রক্রিয়া ছাড়াও বিশ্ব ব্যাংকের চার কোটি টাকার কাজে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আল আমিন বলেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে আমি কলেজে যোগদানের আগে ২১ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে। ২১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেউক এটা আমরা চাই না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য নিতে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।