দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ডাংধরা ইউনিয়নের জিঞ্জিরাম নদী ও মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা লোকাই ঝর্ণার পানি বৃদ্ধি পেয়ে
ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর গ্রামে তীব্র নদী ভাঙনে আশরাফুল, দুলাল,নশু, রবিউল, ইদ্রিস, শাহজাহান, হাসান, আলী, জরিনা, রশিদ সহ ১৪টি বাড়ী লোকাই ঝর্ণার ও জিঞ্জিরাম নদীর গর্ভে ভেঙ্গে গেছে। উঠতি ফসল রোপা আমন, ও শাকসবজি ক্ষতি হয়েছে। দিশাহারা হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। ডাংধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল রহমান জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছেব্যপক। ভূক্তভোগী আম্বিয়া খাতুন বলেন পাহাড়ী ঢলে বাড়ী ভেঙ্গে গিয়েছে। তিন সন্তান নিয়ে রাস্তায় কষ্টে দিন যাপন করছি। শুক্রর জানান পাহাড়ী ঢলে ঘরবাড়ী ভেঙ্গে গেছে। কোথায় মাথা গুজার ঠাই নেই। রাস্তায় সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। প্রশাসনের নিকট ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারদের আবেদন ত্রাণ নয় স্হায়ী বাঁধ নির্মান করা হোক। সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাসুদ জানান প্রতিবছর পাহাড়ী ঢলে ঝর্ণার পানিতে ব্যপক ক্ষতি হয়। সীমান্ত অঞ্চলের জনগনকে বাচাতে হলে স্হায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানান। কাউনিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মুক্তারুল ইসলাম জানান প্রতিবছর পাহাড়ী ঢলে নকাই ঝর্নার ভাঙ্গনে পাড়ের মানুষগুলো অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর দীর্ঘস্থায়ী সমাধান না হলে, পাথরের চর গ্রামের শত শত মানুষের বাড়িঘরের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
দীপশিখা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর কবির জানান, জিঞ্জিরাম নদী ও নকাই ঝর্ণা পাহাড়ী ঢলে নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পাথরের চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দীপশিখা উচ্চ বিদ্যালয়, বিজিবি ক্যাম্প, মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনা। নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, পাথরের চর পাহাড়ী ঢলে বাড়িঘর বিলীন হওয়ার বিষয়টি জেনেছি।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা
বলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
অপর দিকে চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙ্গনে সানন্দবাড়ী সেতু হুমকির মধ্যে। জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙ্গনে
আবাদী জমি, বসত বাড়ী, এবং সানন্দবাড়ী সেতুর ১শ মিটার পূর্ব দিকে
বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। পাহাড়ী তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন অব্যহত আছে। দেওয়ানগঞ্জ, রাজিবপুর, রৌমারী উপজেলার যোগাযোগ মাধ্যম সানন্দবাড়ী সেতু। এ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাহার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। সেতুর দক্ষিন পাশে মাটি ধবসে গেলে সেতু ঝুকির মধ্যে পড়বে। চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম
জানান সেতু রক্ষায় ইতিপূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা প্রযোজনী ব্যবস্হার নেয়ার কথা জানান। লম্বাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৈয়জ্জামান ও বাহাদুর জানান গত সরকারের আমলে অনেক নেতা কর্মী কথা দিয়েছিলেন। কিন্ত কেহ কাজ করে নাই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এসে জরিপ করে গেছে। কোন কাজ হয়নি। সেতুর পূর্বদিকে ভাঙ্গন রোধে বালির বস্তা ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তুপক্ষের নিকট এলাকার জনগণ জোর দাবি জানান।