ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, পরীক্ষাও স্থগিত Logo ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ Logo শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত Logo আমেরিকান দূতাবাসের সামনে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত

স্টারলিংককে হার মানাল চীন! ৫ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট উদ্ভাবন

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১০:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ১৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

স্টারলিংককে হার মানাল চীন! ৫ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট উদ্ভাবন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করলো চীন। দেশটির বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্রযুক্তি সফলভাবে চালু করেছেন, যার মাধ্যমে মাত্র ২ ওয়াটের একটি লেজার ব্যবহার করে সেকেন্ডে ১ গিগাবিট (Gbps) গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এই গতি এলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেটের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।

আজ বুধবার (১৮ জুন) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বিজনেস বাইট জানায়, চীনের এই নতুন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপরে জিওস্টেশনারি কক্ষপথে স্থাপিত একটি স্যাটেলাইট থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এটি স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলোর অবস্থানের তুলনায় প্রায় ৬০ গুণ উচ্চতায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত লেজার সিগন্যাল বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত হওয়ার সময় বিকৃত হয়ে পড়ে, যার ফলে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনা বিজ্ঞানীরা অভিনব এক প্রযুক্তি—Adaptive Optics Mode Division Receiver (AO-MDR)—উদ্ভাবন করেছেন।

এই প্রযুক্তিতে রয়েছে ৩৫৭টি মাইক্রো-মিরর যা বিকৃত লেজার রশ্মিকে সঠিকভাবে পুনর্গঠন করে। পাশাপাশি, এতে মাল্টি-প্লেন লাইট কনভার্টার এবং রিয়েল-টাইম পাথ-পিকিং অ্যালগরিদম ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা সিগন্যালের গতি ও নির্ভুলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই উদ্ভাবনের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর উ জিয়ান এবং গবেষক ড. লিউ চাও। তাঁদের গবেষণা শুধু চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়ায়নি, বরং বৈশ্বিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সাফল্য ভবিষ্যতের ব্রডব্যান্ড কাঠামো, দূরবর্তী অঞ্চলের ইন্টারনেট সুবিধা এবং মহাকাশ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য আদান-প্রদানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

ট্যাগস :

স্টারলিংককে হার মানাল চীন! ৫ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট উদ্ভাবন

আপডেট সময় : ১০:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

স্টারলিংককে হার মানাল চীন! ৫ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট উদ্ভাবন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করলো চীন। দেশটির বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্রযুক্তি সফলভাবে চালু করেছেন, যার মাধ্যমে মাত্র ২ ওয়াটের একটি লেজার ব্যবহার করে সেকেন্ডে ১ গিগাবিট (Gbps) গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এই গতি এলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেটের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।

আজ বুধবার (১৮ জুন) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বিজনেস বাইট জানায়, চীনের এই নতুন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপরে জিওস্টেশনারি কক্ষপথে স্থাপিত একটি স্যাটেলাইট থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এটি স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলোর অবস্থানের তুলনায় প্রায় ৬০ গুণ উচ্চতায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত লেজার সিগন্যাল বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত হওয়ার সময় বিকৃত হয়ে পড়ে, যার ফলে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনা বিজ্ঞানীরা অভিনব এক প্রযুক্তি—Adaptive Optics Mode Division Receiver (AO-MDR)—উদ্ভাবন করেছেন।

এই প্রযুক্তিতে রয়েছে ৩৫৭টি মাইক্রো-মিরর যা বিকৃত লেজার রশ্মিকে সঠিকভাবে পুনর্গঠন করে। পাশাপাশি, এতে মাল্টি-প্লেন লাইট কনভার্টার এবং রিয়েল-টাইম পাথ-পিকিং অ্যালগরিদম ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা সিগন্যালের গতি ও নির্ভুলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই উদ্ভাবনের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর উ জিয়ান এবং গবেষক ড. লিউ চাও। তাঁদের গবেষণা শুধু চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়ায়নি, বরং বৈশ্বিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সাফল্য ভবিষ্যতের ব্রডব্যান্ড কাঠামো, দূরবর্তী অঞ্চলের ইন্টারনেট সুবিধা এবং মহাকাশ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য আদান-প্রদানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।