নাম, যশ, অর্থ, প্রতিপত্তি, সাফল্য-ব্যর্থতা, হাসি-কান্না, রাগ-অভিমান, সমস্ত কিছুই পড়ে রয়েছে পার্থিব জগতে। নশ্বর দেহ মাটির কোলে আশ্রয় নিয়েছে। উপরে খোদাই করা সেই নাম, ইরফান খান। মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মেনে চার মাস আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। করোনা সংকটের আবহেই প্রিয় অভিনেতাকে হারিয়েছে চলচ্চিত্র জগৎ।
সময়ের খাতায় সব হিসেবই পুরনো হয়ে যায়। শ্যাওলা পড়ে। গজিয়ে ওঠে আগাছা। সেই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে বিশ্বখ্যাত অভিনেতার সমাধি। চন্দন রায় সান্যালের টুইট করা ছবি দেখে চোখের কোণ ভিজছে তার অনুরাগীদের।
ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিদিনের বলা হয়েছে, ভারসোভার মুসলিম কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়েছিলো প্রয়াত এই অভিনেতাকে। সেই সমাধির চারপাশে অযত্নের চিহ্ন। বিনা রক্ষণাবেক্ষণে যেখানে-সেখানে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। কিছু পাথর দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সামনে একটি ছোট্ট ফলকে লেখা নাম। ছবি শেয়ার করে চন্দন রায় সান্যাল ক্যাপশনে লিখেছেন।
কাল থেকেই ইরফানকে মিস করছিলাম। নিজেকে ধিক্কার জানাচ্ছিলাম চার মাস ধরে তার সমাধিতে না যাওয়ার জন্য। এইখানেই একা একা বিশ্রাম নিচ্ছে গাছগাছালির মাঝখানে। আমি কিছু রজনীগন্ধা রেখে গেলাম। আর তার সাম্রাজ্যের কিছু অংশ নিজের জন্য নিলাম। কতগুলো দিন কেটে গেলো ইরফান খান!
সত্যিই যেনো কতদিন কেটে গেলো! এই তো সেদিনের কথা দেশে ফিরে আসার পর শেষ ছবি ‘আংরেজি মিডিয়াম’-এর (Angrezi Medium) শুটিং শেষ করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন প্রয়াত এই অভিনতো। ২৯ এপ্রিল কোলন ইনফেকশনের জেরে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় এই অভিনেতার।
সেই শোক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি চলচ্চিত্র অনুরাগীরা। কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেতা চন্দন রায় সান্যালও। সেই কারণেই বন্ধুর সমাধিস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। তার সৌজন্যে যে ছবি প্রকাশ্যে এলো তা মন ভেঙে দিয়েছে ইরফান অনুরাগীদের। প্রশ্ন উঠছে, চার মাসেই কি অতীতের খাতায় এতটা পিছনের পাতায় চলে গেলো ইরফান খানের স্মৃতি!