নারায়ণগঞ্জের পর এবার চট্টগ্রামে ‘নিহত’ ব্যক্তি এক সপ্তাহের মধ্যেই জীবিত ফিরে আসার আরেক ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আসায় আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ‘নিহত’ ব্যক্তিসহ চারজনকে তলব করেছেন। আগামী ২২ অক্টোবর তাদের হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার নথিসহ ‘নিহত’ ব্যক্তি দিলীপ রায়কে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রামের হালিশহর থানার এসআই সাইফুল্লাহকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া কারাবন্দি আসামি জীবন চক্রবর্তী ও দূর্জয় আচার্যকে ওইদিন হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। কারাবন্দি আসামি দূর্জয় আচার্যের করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে দূর্জয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জাহিদুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
জানা যায়, অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গত বছর ২৩ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল জীবন চক্রবর্তী ও দূর্জয় আচার্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে জীবন চক্রবর্তী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গাঁজা খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিলীপ রায় নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দিতে জানায় জীবন চক্রবর্তী।
এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে ওই বছরের পহেলা মে দিলীপ রায়কে জীবিত অবস্থায় একই বিচারকের সামনে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট দিলীপকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন এবং পুলিশকে ৫ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে দূর্জয় চক্রবর্তী হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আজ তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে দিলীপ রায়ের জীবিত ফেরার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আসে।