মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুব বেশি সময় বাকি নেই। এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রশ্ন জাগছে এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হতে পারে? তবে সাম্প্রতিক কিছু জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের প্রতি জনসমর্থন আরও বেড়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবরের মধ্যে পরিচালিত এনবিসি নিউজ এবং ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের সর্বশেষ জরিপ বলছে, জো বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছেন নিবন্ধিত ৫৩ শতাংশ ভোটার।
অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে এমন ভোটার ৩৯ শতাংশ। এনবিসি নিউজ এবং ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের আগের জরিপটি চালানো হয়েছিল গত ২০ সেপ্টেম্বর।
সে সময় ট্রাম্পের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। এবার সেই পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৪। অতীতে কখনো বাইডেন এত বেশি পয়েন্ট পাননি।
নভেম্বর থেকে সকলের জন্য খুলছে মক্কা
তার সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড ছিল গত জুলাইয়ে। তখন ১১ পয়েন্টে এগিয়েছিলেন তিনি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেন।
অত্যন্ত বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ওই বিতর্কের মাত্র দুই দিনের মাথায় এই জরিপ চালানো হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশের আগেই এই জরিপ শেষ হয়েছে।
ট্রাম্প বর্তমানে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ওয়াল্টার রিড মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাতে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িবহর নিয়ে ঝটিকা মোটর শোভাযাত্রা করেছেন। সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাতে হাসপাতাল থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে আসার এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা।
মাস্ক পরে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট কালো রঙের এসইউভি গাড়িতে চেপে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। একই গাড়িতে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরাও ছিলেন; এখন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এই কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে পড়লেন কিনা সেটি নিয়ে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জুড দীরি বলেন, মেডিকেল টিমের সদস্যরাই নিরাপদ বলে মোটর শোভাযাত্রায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ট্রাম্পের করোনা আক্রান্ত ও অসুস্থতার তীব্রতা নিয়ে নানা ধরনের সাংঘর্ষিক তথ্য আসছে।
বিভিন্ন সময়ে হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্পের চিকিৎসকদের বিপরীতমুখী তথ্যের কারণে প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।