মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিতরাই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকার তৎপর থাকলেও পরিবারেরও দায়িত্ব রয়েছে। নিজেদের শিশুদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবার থেকেই নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।
শনিবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুম প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাগরে আবারো জেগে উঠেছে নতুন ঘূর্ণিঝড়, যার নাম ‘গতি’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ষকেরা পরিবারের বাইরে নয়। এরাও সমাজের অংশ। কিন্তু ধর্ষকের পরিচয় শুধুই ধর্ষক। সে যে ই হোক। এদের সমাজের সর্বস্তর থেকে বর্জন করতে হবে। ধর্ষণের শাস্তি মৃতুদণ্ড দেয়ায় প্রমাণ হয় যে, আওয়ামী লীগ সরকারই পারে নারীর নিরাপত্তা দিতে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, কোভিড- ১৯ উন্নত ও অনুন্নত দেশের সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।
বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অচিরেই এই সংকট কেটে যাবে। আবার শিশুরা মাঠে খেলবে ও স্কুলে যাবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার সব বিভাগীয় শহর ও ফরিদপুরে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি টেলিফোন ও অনলাইনে ২৪ ঘন্টা মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে আসছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।