প্রযোজক কোটি টাকা ঢালছেন, শুটিং চলছে মাসের পর মাস, মুক্তির আগেই সেই সিনেমা চোরাই কপিতে ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেটে।
কোরবানি ঈদের ‘তাণ্ডব’
শাকিব খানের এই ছবিটি হলে মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোপন চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে এখানেই শেষ নয় শুরু হয় আরেক খেলা।
একটি পক্ষ প্রচার চালাতে থাকে, “ঈদের সব সিনেমাই নাকি চোরাই কপিতে ছড়িয়ে গেছে!”
কিন্তু সত্যি কি তাই?
শাকিব খান ফ্যান ক্লাবের প্রধান অ্যাডমিন আব্দুর রহমান, যিনি সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত সক্রিয় এবং চলচ্চিত্র ঘনিষ্ঠ, তিনি নিজের পোস্টে ক্ষোভ ঝাড়েন:
> পাইরেসি নিয়ে অভিযোগটা হচ্ছে, কেন শুধু শাকিব খানের সিনেমাতেই এমন হয়?
“রোজার ঈদে যেমন ‘বরবাদ’ ছবি চোরাই কপিতে ছড়ায়, তখনই এক পক্ষ দাবি করে ঈদের বাকি ছবিগুলোও নাকি একই পরিণতির শিকার! অথচ বাস্তবে তা হয়নি।
কোরবানির ঈদের ক্ষেত্রেও ‘তাণ্ডব’ ছবির চোরাই কপি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একই কৌশলে প্রচার চালানো হয় “সব ছবিই নাকি চোরলচ্চিত্র হয়ে গেছে”।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, একটা পক্ষ যেন কৌশলে বারবার শাকিব খানের ছবিকে নিশানা করছে। মনে হচ্ছে এটি শুধু অপরাধ না, এটি ষড়যন্ত্র।
প্রশ্ন একটাই কারা এই ‘পাইরেসিচক্র’?
যখনই শাকিব খান নতুন ছবি নিয়ে আসেন, তখনই তার ছবি চোরাই পথে ছড়িয়ে পড়ে।
তারপরই শুরু হয় বিভ্রান্তিকর প্রচারণা “সব ছবিই ছড়িয়ে গেছে”!
এই কৌশলে শাকিবের জনপ্রিয়তা ও ব্যবসায়িক সাফল্যকে থামানোর চেষ্টা চলছে বলেই অভিযোগ উঠছে।
পাইরেসি না প্রতিপক্ষের খেলা?
ছবির কাহিনি, শিল্পীর অভিনয়, নির্মাতার পরিশ্রম সবই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে চোরলচ্চিত্রের দৌরাত্ম্যে।
আর তার চেয়েও বড় ক্ষতি পাইরেসিকে হাতিয়ার বানিয়ে পরিচালিত হচ্ছে শাকিববিরোধী অপপ্রচার।