আগামী জাতীয় নির্বাচনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নির্বাচনী কৌশল চূড়ান্ত করেছেন। তিনি দলের কেন্দ্র থেকে অঙ্গসংগঠন পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে ৯০ দিনের একটি বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ।
প্রধান পরিকল্পনা ও কাঠামো
কঠোর প্রার্থী যাচাই: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঠিক নির্বাচনের লক্ষ্যে কঠিন পথ অতিক্রম করবার ব্যবস্থা, যেখানে ঐন্দ্রজালিক চারিত্রিক গুণাবলী, আচার-আচরণ, আয়–ব্যয়ের বিবরণ দাখিল বাধ্যতামূলক হবে ।
আচার-আচরণ ও আচরণবিধি: ভোটার ও মানুষের সঙ্গে বিনয়, নম্রতা ও সৌজন্যমূলক আচরণ নিশ্চিত করতে দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফার আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে ।
নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ: মাঠ পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রতি সজাগতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, জাল ভোট প্রতিরোধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।
মজবুত পোলিং এজেন্ট ব্যবস্থা: কেন্দ্রভিত্তিক তিন স্তরের পোলিং এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রের গঠন ও ফলাফলের ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হবে ।
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রচারণার মাত্রা: ৩১ দফার বাইরে স্থানীয় জনগণের কল্যাণমূলক বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকরভাবে তুলে ধরা হবে ।
ভোট গণনা পর্যবেক্ষণ: ফলাফলের সময় আইন-বিধিসম্মত প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হবে ।
অন্য প্রার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা: পার্শ্ববর্তী দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও সৌজন্যমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
ডিজিটাল প্রতিহিংসা প্রতিরোধ: সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দক্ষ ডিজিটাল টিম গঠন করা হবে ।
যুগপৎ শরিক দলের অংশগ্রহণ: বিএনপি–র পাশাপাশি তাদের ঐতিহাসিক ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের শরিক দলগুলোও একই নির্দেশনা পালন করবে ।
এমকে/আস্থা