কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বেশকয়েকটি লোকাল ও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।
প্রতিদিনই শতশত যাত্রী উঠানামা করে এখানে। কিছুদিন আগেও স্টেশনের প্লাটফরমের টিনের চাল ফুটো থাকায় বৃষ্টির দিনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রীদের। নতুন টিনের চাল লাগানো হয়েছে। অথচ স্টেশনের একমাত্র পানির ব্লকটি বেহাল দশায় রয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় এ যেনো অভিভাবকশূণ্য রেলওয়ে স্টেশন!
স্যাঁতসেঁতে, শ্যাওলা ও নোংরা অবস্থায় রয়েছে পানির ব্লকটি। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অবস্থায় রয়েছে এটি। পরিস্কার করার কেউ নেই!
পানির ব্লকটির নোংরা অবস্থা থাকায় যাত্রীরা এখান থেকে পানি পান করতে ভয় পায়। এ নিয়ে দূরদূরান্তের যাত্রীরা চরম বিপদে আছে।
প্ল্যাটফরমে অপেক্ষারত বেশকয়েকজন যাত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, চরম পিপাসা পেলেও কিছু করার নাই এখানে। লোকদেখানো একটি পানির ব্লক আছে অথচ মনে হচ্ছে কয়েকশত বছর ধরে পরিষ্কার করা হয়না এটি। বিশুদ্ধ পানির পরিবর্তে জীবানুযুক্ত পানি পাওয়া যায় এখানে।
আরেকজন যাত্রী আফসোস করে বলেন, সরকারী টাকায় মাস শেষে ঠিকই বেতন নিচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অথচ পানির ব্লকটি পরিষ্কার করতে এদের কষ্ট লাগে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশনে কোনো দায়িত্বরত অফিসারকে পাওয়া যায়নি। সবগুলো রুম তালাবদ্ধ ছিলো। স্টেশন মাস্টারও কাউন্টারে না থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।