কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চোরাই মালামাল উদ্ধার ও চোর গ্রেফতার বিষয়ে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭/১২/২০২২ তারিখ কটিয়াদি থানাধীন গচিহাটা বাজারের মাইশা ক্লথ স্টোর এন্ড পর্দা গ্যালারী নামক কাপড়ের দোকানে সকাল অনুমান ৭ টা ৩০ মিনিটে নগদ টাকাসহ আনুমানিক ৫,১২,৪৪০ /- টাকার বিভিন্ন প্রকারের কাপড় অজ্ঞাত ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চুরি করিয়া নিয়া যায়।
পরবর্তীতে এই ঘটনায় কটিয়াদী থানার মামলা নং-২, তারিখ-০১/০১/২০২৩, ধারাঃ ৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড রজু করা হয়। মামলাটি গচিহাটা তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মো. সফর আলী গত ১/১/২০২৩ তারিখ হইতে ২৫/০১/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত মামলটি তদন্ত করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখা, কিশোরগঞ্জ এ কর্মরত এসআই(নিঃ)/ হাসমত আলীর উপর ন্যাস্ত করা হয়।তিনি তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চোরাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি সনাক্ত করেন। সেই প্রাইভেট কারের সূত্র ধরে এ চুরির ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন চোরকে গ্রেফতার করেন।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল বিক্রি লব্ধ সর্বমোট ১,৩৪,৫০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। চোরাই যাওয়া মালামাল বিক্রির সর্বমোট ১.৩৪.৫০০/- টাকা ও চুরাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।আসামীদের অন্য কোন পেশা নাই। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন মোঃ সুমন মিয়া(৪০), পিতা- মৃত গোলাম মোহাম্মদ, সাং- নবুরিয়া,থানা- বাজিতপুর,জেলা- কিশোরগঞ্জ ও মোঃ সোহাগ মিয়া(৪০), পিতা- মৃত আঃ জলিল মিয়া, সাং-বয়লা, থানা ও জেলা- কিশোরগঞ্জ। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুর রহমান। এ ছাড়াও জেলা কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রায়হান জামান/কিশোরগঞ্জ/আস্থা