কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের দামপাটুলি এলাকায় মো. মঞ্জিল (৪৮) নামে এক কৃষকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মঞ্জিল মিয়া দামপাটুলি গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। আহত হয়েছেন মঞ্জিল মিয়ার ভাবি আছমা আক্তার ও তার ছেলে মিজান মিয়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মঞ্জিল মিয়ার ভাতিজা মো. মিজান মিয়ার মুরগির খামার থেকে প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন প্রায়ই মুরগি নিতেন কিন্তু টাকা চাইলে রাগারাগি করতেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে শনিবার রাতে মঞ্জিল মিয়ার ভাগনির ঘরের নাতি মো. মোবারক (২৫) কে তারাবির নামাযের সময় একা পেয়ে জানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে যশোদল মধ্যপাড়া এলকায় গিয়াস উদ্দিনের ভাই সিরাজ মিয়া,গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আহাদ,আমিনুল ও মমিনুর নামে কয়েকজন এলোপাতাড়ি মাইর শুরু করলে এলাকাবাসী সহায়তায় জানে বেঁচে যায়। পরে নিহত মঞ্জিল মিয়ার পরিবার থেকে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তির্গকে অবগত করলে তাঁরা শনিবার বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু শনিবার সকালে নিহত মঞ্জিল মিয়ার ছোট ভাই কৃষি কাজের উদ্দেশ্য তাঁর ফসলি জমিতে গেলে প্রতিবেশী সিরাজ মিয়া ও তার দলবল নিয়ে আক্রমণ চালায়। পরে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে নিজ ঘরে ঘুমন্ত মঞ্জিল মিয়া ঘুম থেকে উঠে এগিয়ে গেলে তার চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে এলোপাতাড়ি কপিয়ে হত্যা করে।
এ সময় আহত হন ভাতিজা মিজান ও তার ভাবি মোছা. আছমা আক্তার। আহতদের চিকিৎসার জন্য শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইমতিয়াজ সুলতান রাজন বলেন, বিষয়টি আমাকে অবগত করা হলে আজ শনিবার আমি মীমাংসার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলাম কিন্তু এর আগেই প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন মঞ্জিল।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ জানান, কথা কাটাকাটির জেরে মঞ্জিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।