দীর্ঘ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় এর ছত্র ছায়ায় থেকে কোটি কোটি কালো টাকার মালিক বনে যাওয়া সাবেক বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য ও মোংলা পৌর যুবলীগ নেতা আ: জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ফলে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে দ্রুত ইঁদুরের গর্ত থেকে খুঁজে বের করে টাইগার জলিলকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে।
দলের প্রধান থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীরাও মাশুল গুণছে গত ১৭ বছরের ক্ষমতার। তবে, মোংলায় সবকিছুর উর্ধ্বে যেন একটি নাম “শিকদার আ: জলিল ওরফে টাইগার জলিল” ! আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গড়েছেন বিপুল বিত্ত-বৈভব। বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য পদ পেয়েই শুরু হয় মোংলা উপজেলা জুড়ে জলিলের তান্ডব।
জলিলের যত সম্পদ, বলা যায় সব হয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকেই। আওয়ামী লীগের পতন হলেও তিনি রয়ে গেছেন ধরা-ছোয়ার বাইরে। অথচ, ১৭ বছরের হিসেব করতে গেলে এই সময়ে মোংলায় হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম সুবিধাভোগী শিকদার আ: জলিল” ওরফে টাইগার জলিল।
এমপি শেখ তন্ময়ের কাছের লোক হওয়ায় রীতিমতো উপজেলা জুড়ে রামরাজত্ব কায়েম করতে শুরু করেন জলিল শিকদার। দলীয় প্রোগ্রামের নামে বিভিন্ন দপ্তরে শুরু করেন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। কিন্তু কেউ জলিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পান নি। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে জবাই করা বা জলিলের সাথে থাকা পিস্তলের ভয় দেখাতো।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, এমপি তন্ময়ের নাম ভাঙ্গিয়ে গড়েছেন কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে খুলনা শহরে কিনেছেন ফ্ল্যাট বাড়ী। যার জন্য খোদ নিজ দলের নেতাকর্মীরাই জলিলের কর্মকান্ডে ক্ষীপ্ত হয়ে হাইকমান্ডে একের পর এক অভিযোগ দিতে শুরু করেছিলেন। যা দুদকের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে জলিল শিকদারের সকল অপকর্মের ফিরিস্তি।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছে মোংলা পৌর যুবলীগ নেতা আ: জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল। অথচ পলাতক থাকলেও রহস্যজনকভাবে এই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়েরা দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও করছে অবৈধ ব্যবসা।
আ: জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন সন্ধান ও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমকে/আস্থা