অনলাইন ডেস্ক:
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে।এদিন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
এ মামলার মোট ৮ আসামির মধ্যে ছয়জন কারাগারে আটক রয়েছে। কারাগারে আটক প্রত্যেক আসামি আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তি দেন। এছাড়া আসামি জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার জাকির আট আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে খালাস প্রত্যাশা করেন। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থনে কারাগারে আটক ছয় আসামি আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে দীপন কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিনই তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে মোট ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।