আমলকী এমন একটি ফল যা ভিটামিন সি-তে ভরপুর। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমলকী খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ প্রতিদিন আমলকী খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নেও রয়েছে আমলকীর নানা ব্যবহার।
উপকারী হলেও এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া সম্ভব হয় না, ফলে অল্প করে কিনলেও ঘরে থেকে থেকে শুকিয়ে যায়। তবে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে পারলে পুষ্টিগুণ অপরিবর্তিত রেখে অনেকদিন পর্যন্ত আমলকী খেতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে আমলকী সংরক্ষণ করবেন তার কিছু উপায়-
>> আমলকী রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে রেখে দিতে পারেন।
>> আমলকী ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। ভালো করে পিষে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রস আলাদা করুন। আইস ট্রেতে আমলকীর রস নিয়ে রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। এটি পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারবেন।
>> আমলকীর বিচি বের করে টুকরো করে কেটে নিন। জিপলক ব্যাগে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যাগের ভেতরে যেন কোনো ধরনের পানি বা বাতাস না থাকে। চাইলে আস্ত আমলকীও একইভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন। খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বের করে নিন।
>> আমলকী টুকরো করে দুই মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর লবণ, লেবুর রস, সরিষার তেল ও আদা কুচি মেখে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর বছরজুড়ে সংরক্ষণ করুন মুখবন্ধ বয়ামে।
>> আমলকী সংরক্ষণ করতে পারেন হলুদ মিশ্রিত পানিতে। কাচের এয়ারটাইট পাত্রে পানি, লবণ, হলুদ ও ভিনেগার ঢেলে আমলকীর টুকরো দিয়ে দিন। মিশ্রণটি রোদে রেখে দিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। নরমাল ফ্রিজে রেখে অনেকদিন পর্যন্ত খেতে পারবেন এই আমলকী।
>> বানিয়ে ফেলতে পারেন আমলকীর ক্যান্ডি। দারুণ মুখরোচক এটি খেতে। এজন্য ফুটন্ত পানিতে খানিকটা নরম করে সিদ্ধ করে নিন আমলকী। হাত দিয়ে যেন বিচি আলাদা করা যায় এভাবে সিদ্ধ করবেন। বিচি আলাদা করে ছোট টুকরো করে ছিঁড়ে নিন। পর্যাপ্ত চিনি মিশিয়ে ঢেকে রাখুন ৩ দিন। চিনি গলে যাবে এর মধ্যেই। এরপর আমলকী আলাদা করে রোদে শুকান দুইদিন। খুব বেশি কড়কড়ে করে শুকাবেন না। কিছুটা নরম রাখুন। আমচুর পাউডার, চিনি গুঁড়া অথবা গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে আমলকীর ক্যান্ডি সংরক্ষণ করুন মুখবন্ধ বয়ামে।