ইউপি নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ হরিপুর ওসির বিরুদ্ধে
মোঃ ফরিদ হোসাইন মাসুম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করার পর ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন জেনে এক মাদক ব্যবসায়ীকে হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানার ওসি আরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে। তবে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটার সময় ধামাচাপা হয়ে গিয়েছিল এমনকি এটি প্রকাসে ছিল নানা ধরনের বাধা । এই বাধাকে স্থানিয় কিছু অনলাইন সংবাদে এটির প্রকাশ ঘটে এত করে এলাকাতে বহু আলোচনার সমালোচনাতে এটি যেন একটি কাহীনিতে রুপ নিয়েছে ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাচালীন সময়ে মিডিয়ায় মন্তব্য করা নিয়েও বিধি নিষেধ রয়েছে। এ সময় গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৯ টার সময় হরিপুর থানায় কর্মরত এসআই আবু ঈসা মুঠোফোনে বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে ১’শ বোতল ফেন্সিডিল সহ হরিপুর উপজেলার গেদুড়া কিসমত গ্রামের নূহু মোহাম্মদের ছেলে মহসিন আলীকে (৩২) আটক করি। এরপরে ওসি স্যারের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একই উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের উসমান গণির ছেলে আব্দুর রহিমসহ আরও ৫ জন এই মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে স্বীকার করে।
যাহার ভিডিও রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পর ওসি স্যারের নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওইদিনই রাতে উপজেলার ঠাকিঠুকি বাজার থেকে আব্দুর রহিমকে আটক করে হাজতে রাখি। মামলার কাগজপত্র ও আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ করে পরদিন সকালে আসামীদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখি হাজতে রহিম নামের আসামী নেই। “ওসি স্যারকে এ বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, রহিমের পরিবারের লোকজন এসে কান্নাকাটি করছিল, সে আগামীতে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিবে, তাই মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিছি।” তুমি বাকি ৫ জনের নামে মামলা দিয়ে আসামী মহসিনকে আদালতে নিয়ে যাও।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে হরিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার দিন আমি স্বাক্ষ্য দিতে আদালতে ছিলাম। তাছাড়া ওসি স্যার ৫ দিনের ছুটিতে আছেন। তিনি ছুটি থেকে না আসা পর্যন্ত আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয় বলে স্বীকার করেন। তবে হরিপুর থানার ওসি এস এম আরঙ্গজেব জানান, আব্দুর রহিমের পরিবারের লোকজনের কাছে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে এই ধরণের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।