আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউরোপের উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ৪১ অভিবাসন প্রত্যাশী। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই সাম্প্রতিকতম নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে সাহায্য চাইতে থাকে নৌকাটি। পরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই এসব অভিবাসী প্রাণ হারায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ২০১৪ সাল থেকে সাগরে ডুবে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসী ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘ এই নৌপথটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ আখ্যা দিয়েছে। ২০১১ সালে দীর্ঘ দিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে লিবিয়া।
শনিবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিও লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত ১২০ অভিবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় নৌকাটি। নৌকাটি ডু্বতে শুরু করার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর একটি বাণিজ্যিক জাহাজ সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।
অভিবাসন সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়, নৌকাটি ডুবতে শুরুর পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে এর আরোহীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য চাইতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে ছয় ব্যক্তি পানিতে পড়ে মারা যায়। আর অপর দুই জন দূরে একটি নৌকা দেখে সাঁতার কেটে যাওয়ার চেষ্টা করে মারা যায়। তারও প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভস ট্রাইটন জাহাজ নৌকাটির কাছে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে কঠিন এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের সময় বহু অভিবাসী প্রাণ হারায়।
পরে বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধার করে জাহাজটি ইতালির বন্দর শহর পোর্টো এম্পেদেকোলেতে নিয়ে যায়। এখনো নিখোঁজদের মধ্যে তিন শিশু ও চার নারী রয়েছে।